কলকাতা: আর কিছু দিন পরেই পয়লা বৈশাখ। আর পয়লা বৈশাখে বাঙালি একটু মিষ্টিমুখ করবে না তাও কি হয়। যারা মিষ্টিপ্রেমী, তাদের একটি প্রিয় মিষ্টি চমচম। তবে পয়লা বৈশাখের দিন দোকান থেকে না কিনে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন এই মিষ্টি। কীভাবে বানাবেন ? রইল সেরা রেসিপিটি।


উপকরণ - দুধ ১ লিটার (ছানার জন্য লাগবে এই দুধ), চিনি ১ চা চামচ, ময়দা ১ চা চামচ, সুজি ১ চা চামচ। সিরার জন্য চিনি ২ কাপ, পানি ৫ কাপ, এলাচি ৪টি, মেওয়া পরিমাণমতো।


পদ্ধতি - প্রথমে দুধ জ্বাল দিতে হবে কিছুক্ষণ। এবার এতে অর্ধেক কাপ ভিনিগার ও অর্ধেক কাপ জল একসঙ্গে দিতে হবে । এই অবস্থায় কিছুক্ষণ জ্বাল দিলে হবে দুধ থেকে জল ও ছানা আলাদা হবে। তখন গ্যাস নিভিয়ে দিন। জল ঠান্ডা হয়ে এলে ছানা কাপড়ে ছেঁকে তুলে ভাল করে জল ছেঁকে নিন। এবার ঠান্ডা জলে ধুয়ে কিছুক্ষণ ঝুলিয়ে রাখুন। এবার এক ঘণ্টা পর ভালোভাবে চেপে নিন।


মেওয়া তৈরির পদ্ধতি


উপকরণ - অর্ধেক কাপ গুঁড়ো দুধ, ২ টেবিল চামচ জল,২ টেবিল চামচ ঘি 


পদ্ধতি - মেওয়ার জন্য গুঁড়ো দুধ, ঘি ও জল নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ফোটাতে হবে। জল শুকিয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে দিন। এর পর মেওয়া ঠাণ্ডা হয়ে এলে হাত দিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে।


চমচম তৈরির পদ্ধতি



  • প্রথমে গ্যাসের উপর একটি পাত্রে ৬ কাপ জল আর ২ কাপ চিনি ও এলাচ দিয়ে বসিয়ে দিন। এরপর মিশ্রণ ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে দিন। 

  • এর মধ্যে জল ঝরে যাওয়া ছানা পাঁচ মিনিট ভালো করে মথে নিন। এতে ময়দা, সুজি ও চিনি দিন। তার পর ফের ছানার মিশ্রণটা ১০ মিনিট ধরে মথতে হবে। কোনও দলা থাকবে না এমন ডো গড়ে ফেলুন। 

  • এবার আপনার লম্বাটে আকারে গড়ে নিন এক একটি চমচম। গড়া হয়ে গেলে একটি একটি করে ফুটন্ত সিরায় ছেড়ে দিন। এই সময় আঁচ কিছুটা বাড়িয়ে দিন। 

  • সবগুলো একসঙ্গে ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন। উপরে ঢাকনা দিয়ে দিন। এই অবস্থায় ২০-২৫ মিনিট রাখার পর মিষ্টি গুলি উল্টে দিয়ে ফের ২০-২৫ মিনিট ঢাকা দিন। 

  • এবার একেবারে কম আঁচে টানা তিন ঘণ্টা ঢেকেরেখে দিন। সিরা কমতে থাকলে আস্তে আস্তে মিষ্টিতে রং আসবে। 

  • রস কমে এলে মিষ্টিগুলো সুন্দর ঘন রং নেবে। এবার ঠান্ডা করে নিয়ে উপর থেকে মেওয়া ছড়িয়ে দিলেই তৈরি চমচম।


আরও পড়ুন - Skin Care: পুরুষদের কেন ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন ?