Parenting: মা-বাবা (Gurdian) হওয়া কী মুখের কথা! সন্তানের মনের (Parenting) কথা বুঝে তাকে সামলানো নিঃসন্দেহে একটা বড় দায়িত্ব। অনেকসময়েই হয়, হয়তো অভিভাবক (Parents) খুব যত্নেই সন্তানকে বড় করছেন, তার সুযোগ সুবিধার দিকে নজর দিচ্ছেন, কিন্তু অজান্তেই করে ফেলছেন এমন কিছু ভুল যা প্রভাব ফেলছে সন্তানের মনের উপর। তাই কয়েকটা বিষয় অবশ্যই মা-বাবাদের খেয়াল রাখা উচিত। বাচ্চা একদম ছোট হলে তাকে সামলাতে হবে একভাবে। বয়ঃসন্ধির সময় মিশতে হবে বন্ধুর মতো। অতিরিক্ত শাসন বাচ্চার মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক থাকুন। ভালো বাবা-মা হতে হলে যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সেগুলো একনজরে দেখে নিন।


সন্তানের সঙ্গে মিশুন বন্ধুর মতো- প্রয়োজনে অবশ্যই সন্তানকে শাসন করুন। কিন্তু বকাঝকা বা মারধর একেবারেই নয়। বাচ্চা ভুল করলে তাকে বুঝিয়ে বলুন কোনটা ঠিক, কোনটা ঠিক নয়। বাচ্চার সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে। তাহলে মা-বাবাকে বাচ্চাও ভরসা করতে শিখবে। সন্তানকে বোঝান, গোটা দুনিয়া বিরুদ্ধে গেলেও মা-বাবা পাশে থাকবেই, যেকোনও পরিস্থিতিতে। 


অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন সন্তানের বয়ঃসন্ধিতে- অ্যাডোলেসেন্স অর্থাৎ বয়ঃসন্ধির সময় বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েই অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং আবেগপ্রবণ থাকে। তাই তাদের সামলানো বেশ মুশকিল। এক্ষেত্রে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন ঠিক, ভুলের কথা। সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে তার মনের কথা জানুন। সন্তানের আনন্দের পাশাপাশি ভাগ করে নিন তার দুঃখও। 


অভিভাবকরা আকাশ ছোঁয়া চাহিদা কমান- নিজের সন্তানকে ইঁদুর দৌড়ে ঠেলে দেবেন না। সবেতেই 'প্রথম' হতে হবে এই চাপ থেকে সন্তানকে দূরে রাখুন। আপনার সন্তান যে বিষয়ে পারদর্শী, তার যেটা মন থেকে করতে ভালো লাগে, তাকে সেটাই করে দিন। জোর করে কিছু চাপিয়ে দিলে, অতিরিক্ত চাপ দিলে, প্রবল কড়া শাসনে রাখলে সন্তানের ক্ষতিই করবেন। অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না নিজের সন্তানের। বরং তাকে সাপোর্ট করুন। 


সন্তানকে সময় দিন, ওদের কথা শুনুন- নিজেকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি সন্তানকেও সময় দিন। রোজ মন দিয়ে ওদের কথা শুনুন। কোনও সমস্যার কথা বললে তা এড়িয়ে না গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করুন। অবশ্যই প্রয়োজনে শাসন করুন, কিন্তু তা যেন অমানবিক না হয়। সন্তানকে ঠিক, ভুল শেখানোর দায়িত্ব বাবা-মায়ের। কিন্তু সেটা বকাঝকা করে, মারধর করে একদমই নয়। বরং বাচ্চাদের কথা মন দিয়ে শুনে মা-বাবারা ভাল শ্রোতা হতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে সহজে। সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। 


আরও পড়ুন- সকলের জন্য নয় নেজাল ভ্যাকসিন, কারা নেবেন, কারা বাদ, জানা গেল