Rose Water: ত্বকের যত্নে (Skin Care) এবং পরিচর্যায় গোলাপ জল (Rose Water) যে কাজে লাগে তা তো প্রায় সবারই জানা। তবে চুলের পরিচর্যাতেও (Hair Care) যে এই গোলাপ জল ব্যবহার করা যেতে পারে, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। চুল ভাল রাখতে এবং চুলের যত্ন করার জন্য কীভাবে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন, তা দেখে নিন একনজরে।


কন্ডিশনার- শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপ জল। একটা স্প্রে বোতলে গোলাপ জল ভরে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে ওই গোলাপ জল স্প্রে করে নিন। খানিকক্ষণ রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুল মোলায়েম হবে।


চুলের উজ্জ্বলতা ফেরাতে- হেয়ার সিরাম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন গোলাপ জল। এক্ষেত্রে স্নানের পর ভেজা চুলে বা চুল শুকিয়ে গেলেও গোলাপ জল স্প্রে করে দিতে পারেন। এর ফলে চুল যেমন মোলায়েম হবে, তেমনই ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। রুক্ষ শুষ্ক চুলের সমস্যা কমবে। চুল কন্ডিশনিং করার পরেও লাগাতে পারেন গোলাপ জল।


খুশকির সমস্যা- যাঁদের চুলে অতিরিক্ত খুশকি রয়েছে বা স্ক্যাল্পে কোনও চুলকানি অর্থাৎ ইচিংয়ের সমস্যা দেখা দেয়, তাঁদের ক্ষেত্রেও মোক্ষম দাওয়াই এই গোলাপ জল। গোলাপ জল তুলোয় ভিজিয়ে কিংবা ড্রপারে করে মাথার তালু অর্থাৎ স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। বেশ কয়েকদিন টানা এই নিয়ম মেনে চললে কমতে পারে খুশকি এবং ইচিংয়ের সমস্যা।


এবার দেখে নেওয়া যাক গোলাপ জলের সাহায্যে কীভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব


ক্লেনজার- গোলাপ জল খুব ভাল ক্লেনজার। অতএব মুখ পরিষ্কার করতে কিংবা মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে গোলাপ জল ব্যবহার করতেই পারেন।


টোনার- গোলাপ জল ক্লেনজারের মতো একইভাবে খুব ভাল টোনার। মুখ পরিষ্কারের পর তুলোয় সামান্য গোলাপ জল দিয়ে সারা মুখে আলতো করে লাগিয়ে নিতে পারেন। এর ফলে ত্বক মোলায়েম থাকবে, ঔজ্জ্বল্য ফিরবে। সর্বোপরি ত্বকের কালচে দাগছোপ, র‍্যাশ, লালচে ভাব, কোনও কালও দাগ, ডার্ক সার্কেল এইসব কমাতেও সাহায্য করে গোলাপ জল।


আরও পড়ুন- স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনছেন? কোন কোন দিকে নজর রাখবেন, জেনে নিন