কলকাতা : শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে পরিশ্রান্ত? যে কাজ ভাল লাগত সেটার কথা ভাবলেই মনে হচ্ছে আবার যেতে হবে যুদ্ধক্ষেত্রে ? মুহূর্তে যা ছিল হাতের খেল, এখন সেই কাজেই লেগে যাচ্ছে অনেকটা সময়? ব্যাঘাত ঘটছে মনঃসংযোগ-ঘুমে? এই সমস্যাগুলো যদি ভোগায় তাহলে একটু তলিয়ে দেখার সময় হয়েছে বই কী। ওয়ার্ক বার্নআউটের শিকার নন তো আপনি? একটু খতিয়ে দেখা দরকার।


কীভাবে বুঝবেন যে ওয়ার্ক বার্নআউটে (Work Burnout) ভুগছেন? তার প্রতিকারই বা পাবেন কোন পথে ?


কাজে যেতে মন চাইছে না। যেন কার্যত মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে দেহটাকে নিয়ে যাচ্ছেন অফিসের পথে, বা ঘরে ল্যাপটপ খুলছেন কার্যত ব্য়াজার মুখে। যে কাজ করতেন তুড়িতে, তাতেই এখন লেগে যাচ্ছে অনেকটা সময়। হচ্ছে গুচ্ছের ভুলভ্রান্তি। বেশিরভাগই চোখ এড়িয়ে। মনঃসংযোগের অভাবে।


সহকর্মী-ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামান্য কথাও অযাচিত লেগে যাচ্ছে গাঁয়ে। কোথাও গিয়ে ঘেঁটে যাচ্ছে নিজের সম্পর্কগুলো। সোজা কথায় মুখ থুবড়ে পড়ছে চাকরির শুরুতে নিজেকে নিজের দেওয়া ওয়ার্ক-লাইভ ব্যালেন্সের প্রমিস। প্রভাব পড়ছে শরীরেও। ভুগছেন ক্লান্তিতে। ঘুম হচ্ছে না ঠিকমতো। হজমের সমস্যা, মাথা ব্যাথাও ভোগাচ্ছে আখছার। এই লক্ষ্মণগুলো ওয়ার্ক বার্নআউটের।


কারণ ? দীর্ঘদিন বিরতিহীন কাজ। বাড়তে থাকা চাপের বহর। লম্বা হতে থাকা ল্যাপটপে একদৃষ্টে তাকিয়ে টার্গেটের দৌড়। কারণ এগুলোই। দীর্ঘদিন লক্ষ্মণগুলো এড়িয়ে চালিয়ে গেলে ডাক পাঠানো হবে অনেক শারীরিক সমস্যাকে। ডায়াবিটিস, হার্টের-রক্তচাপের সমস্যা থেকে ডিপ্রেশন, লিস্ট লম্বা।


সুরাহা কোন পথে ?


রক্ষা পেতে প্রথম ও প্রাথমিক শর্ত হল, নিজের আবেগকে গুরুত্ব দিন। কীরকম শোনাচ্ছে? আসলে আপনার মন ও শরীর জানান দেবে সমস্যার কথা, তেমনটা পেলে উপেক্ষা করা বন্ধ করুন। নিজেকে সময় দিন। কাজ ছাড়াও আপনার পরিচয় ঠিক কোথায়, খুঁজে নিন। জোর দিতে পারেন হবিতে। হুট করে পিঠে ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়ার অভ্যেসে লাগলে শান দিন। চাপ কমান, ছোট ছোট কাজে গোটা কাজটা ভাগ করে নিন। কথা বলুন ভরসার পাত্রদের সঙ্গে। মেডিটেশন শুরু করতে পারেন। আর তারপরও অস্থির বোধ করলে নিন কাউন্সিলরের সাহায্য।



ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- এক মিনিটের যোগাসন, স্ট্রেস-কে বলুন গুডবাই