কলকাতা: কেরিয়ারে ব্যস্ততা। প্রতিদিনের কাজের চাপ বা ঘরের চিন্তা। দিনভর নানা ব্যস্ততা থাকেই। প্রতিদিনই কাজের শেষে শরীরে গ্রাস করে দুর্বলতা। তখন একমাত্র ভাল ঘুমই পারে শরীরকে ফের চনমনে করে তুলতে। কিন্তু অনেকসময়ই নানা কারণে ঘুমকেই হেলাফেলা করা হয়। কিন্তু টানা ঘুম কম হলে শরীরের জন্য তা মারাত্মক ক্ষতিকর। কম ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, তার সঙ্গেই মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত করে দিতে কাউকে। হতে পারে নানা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও। 


শরীর ভাল রাখতে ঘুমের দিকেও দিতে হবে গভীর মনোযোগ। কিছু কিছু অভ্যেস সহজে ঘুম আনতে সাহায্য করতে পারে। 


নিয়মিত রুটিন
একই রুটিন মেনে চললে, সহজে ঘুম আসে। এক এক দিন এক একসময় ঘুমোতে গেলে সমস্যা হতে পারে। ঠিক সময় ঘুম নাও আসতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সকালে ঘুম থেকে উঠলে এবং ঘুমোতে গেলে সমস্যা মিটতে পারে।


সূর্যের আলো
প্রতিদিন শরীরে সূর্যের আলো পড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত বেশকিছুক্ষণ সূর্যের আলো শরীরে পড়লে মস্তিষ্ক বেশকিছু রাসায়নিক ক্ষরণ করে যা স্লিপ সাইকেল (sleep cycle) ঠিক রাখতে সাহায্য করে।


এড়ানো যাক মোবাইল
ঘুমনোর সময় মোবাইল বা ট্যাবলেট দূরে রাখা ভাল। টানা কম্পিউটারের সামনে বসে যারা কাজ করেন। তাঁদের এমনিতেই চোখের বিশ্রাম প্রয়োজন। দিনের শেষে ঘুমনোর আগে অন্তত কয়েকঘন্টা টিভি, ল্যাপটপ বা মোবাইল স্ক্রিনের থেকে দূরে থাকলে তা ঘুম আসতে সাহায্য করে। 


হালকা ব্যায়াম
শরীরচর্চা করার অভ্যেস তো সবসময়ের জন্য়ই ভাল। প্রয়োজনে রাতে শোওয়ার আগেও হালকা শরীরচর্চা করা যায়। সম্ভব হলে একটু হাঁটা যায়। অথবা হালকা স্ট্রেচিং বা বজ্রাসন করা যায়। এতে হজমও ভাল হবে।


মন শান্ত হোক
দিনভর কাজ-চিন্তায় মন অশান্ত থাকেই। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার আগে মন শান্ত হতেই হবে। সুগন্ধী তেল ব্যবহার করতে পারেন। গল্পের বই পড়তে পারেন। নিজের পছন্দের গানও শোনা যাবে। সহজেই আসবে ঘুম। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: জোরে গান শোনার অভ্যাস? বিপদের কথা শোনাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা