Skin Care Tips: বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটস (Dry Fruits) এবং বাদামজাতীয় (Nuts) খাবার যে আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, তা প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু এই ড্রাই ফ্রুটস এবং নাটস যে ত্বকের উজ্জ্বলতা-সহ একাধিক উপকার করে এবং বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম বা নাটস ত্বকের যত্নে (Skin Care) কাজে লাগে এবং কীভাবে কাজে লাগে। মূলত এইসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিজাত উপকরণ থাকে যা ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে।
ত্বকের পরিচর্যার সঙ্গে যত্নের জন্য ডায়েটে থাকুক বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস এবং নাটস বা বাদাম, মোট পাঁচটি উপকরণ নিয়ে আলোচনা করা হল।
কালো কিশমিশ- ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে কালো রঙের কিশমিশে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই রোজ সকাল কালো কিশমিশ খেতেই পারেন। এমনিতেই অনেকে জলে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখেন এবং সকালে খেয়ে থাকেন খালি পেটে।
আমন্ড বা বাদাম- রোজ সকালে দুটো আমন্ড খাওয়ার অভ্যাস থাকলে একাধিক উপকার পাবেন আপনি। শুধু ত্বক নয়, ভাল থাকবে চুল। আরও প্রখর হবে মস্তিষ্ক। আমন্ডের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সমস্ত উপকরণ ত্বকের ডেড সেল ঝরিয়ে উজ্জ্বলতা ফেরাতে সাহায্য করে।
খেজুর- রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে রোজ দু থেকে তিনটি খেজুর খেতে পারেন। শরীরে আয়রনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে এই ড্রাই ফ্রুটস। এছাড়াও বেশ কিছুক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে খেজুর। তাই সন্ধেবেলার হাল্কা খিদের সময় বা দিনের যেকোনও সময় অল্প খিদে পেয়ে খেজুর খেতে পারেন কয়েকটা। ন্যাচারাল সুইটনার হিসেবেও ব্যবহার রয়েছে খেজুরের। এই ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ডি যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে অর্থাৎ ত্বকের গঠন দৃঢ় রাখে। এর ফলে সহজে বলিরেখা বা রিঙ্কেলস দেখা যাবে না আপনার ত্বকে। এছাড়াও আপনার ত্বক মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে খেজুর।
আখরোট- এই ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি৫ এবং ই, যা ত্বকের বিভিন্ন পোরসগুলি টাইটনিংয়ে সাহায্য করে ও ত্বকের গঠন ঠিক রাখে।
পেস্তা- এর মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। এর উপকরণ ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে এবং ত্বক হাইড্রেটেড বা ময়শ্চারাইজড রাখতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- রুক্ষ-শুষ্ক চুলের সমস্যা দূর হবে নিমেষে, বাড়িতেই তৈরি করে নিন এই তিনটি হেয়ার মাস্ক