Skin Care With Rice Water: ত্বকের পরিচর্যা করার সময় আজকাল অনেকেই কোরিয়ার 'বিউটি টিপস' মেনে চলেন। আর কোরিয়ায় ত্বকের যত্নে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় রাইস ওয়াটার বা চাল ধোয়া জল। আমরা সাধারণত চাল ধোয়ার পর সেই জল ফেলে দিই। তবে এই উপকরণই চুল এবং ত্বকের পরিচর্যা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে চাল ধোয়া জল বা রাইস ওয়াটার কীভাবে ব্যবহার করবেন, দেখে নিন বিভিন্ন উপায়। 


ক্লেনজার 


চাল ধোয়া জল ক্লেনজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন আপনার ত্বকে। সহজে দূর হবে তেলাভাব, নোংরা-ময়লা এবং মেকআপও। রাইস ওয়াটারে তুলো ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে এই শীতেও ত্বক থাকবে মোলায়েম। ত্বকের জেল্লাও বাড়বে। অর্থাৎ রাইস ওয়াটার ত্বক হাইড্রেটেড বা আর্দ্র রাখবে। রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর হবে। 


টোনার 


ত্বকে টোনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন রাইস ওয়াটার বা চাল ধোয়া জল। এর মাধ্যমে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে। ত্বকের তেলতেলে ভাব কমাতে এবং ত্বকের পোরসগুলির মুখ যাতে উন্মুক্ত হয়ে না যায় সেই দিকেও খেয়াল রাখে এই রাইস ওয়াটার। ত্বকের পোরসগুলি উন্মুক্ত না হলে সেখানে ময়লা জমবে না। তাহলে ব্রনর সমস্যাও দেখা যাবে না সহজে। 


ফেস মাস্কে মিশিয়ে নিন  


শীতকালে ত্বকে ফেস মাস্ক বা ফেস প্যাক ব্যবহার করলে তা বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া ভাল। এক্ষেত্রে মূল উপকরণ রাখুন চাল ধোয়া জল। রাইস ওয়াটারের সঙ্গে মধু কিংবা টকদই মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। ত্বকের জেল্লা বাড়াবে এই উপকরণ। ত্বক রাখবে মোলায়েম। সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন রাইস ওয়াটার মেশানো বাড়িতে তৈরি করা ফেস মাস্ক বা প্যাক ব্যবহার করতে পারেন শীতের দিনে। স্নানের আগে ব্যবহার করুন এই প্যাক। আর স্নানের পর ক্রিম ম্যাসাজ অবশ্যই করতে হবে। 


ব্রনর সমস্যা কমাতে 


শীতেও অনেকের ত্বকে ব্রনর সমস্যা প্রবলভাবে দেখা যায়। এই সমস্যার সমাধানেও ব্যবহার করতে পারেন রাইস ওয়াটার বা চাল ধোয়া জল। যে অংশে ব্রন রয়েছে সেখানে রাইস ওয়াটার লাগান তুলো ভিজিয়ে। ধীরে ধীরে দূর হবে ব্রন এবং দাগ। কমবে জ্বালা-যন্ত্রণাও। ব্রনর ফলে তৈরি হওয়া লালচে ভাবও কমিয়ে দেবে এই রাইস ওয়াটার। 


ফেস মিস্ট 


শীতকালেও ত্বক তরতাজা রাখার জন্য ফ্রেশনার হিসেবে রাইস ওয়াটার বা চাল ধোয়া জল ফেস মিস্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক আর্দ্র, ময়শ্চারাইজড অর্থাৎ হাইড্রেটেড রাখতে এবং রুক্ষ-শুষ্ক ভাব কমাতে শীতকালে দারুণ ভাবে সাহায্য করে রাইস ওয়াটার। 


আরও পড়ুন- ব্লাড-সুগার আচমকা বেড়ে যাওয়া রুখতে মেনুতে রাখুন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, কী কী খাবেন? 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।