Curd Eating Benefits: অনেকেরই অভ্যাস থাকে ভাতের পাতে দই (Curd) খাওয়া। কিংবা খাবার শেষে কিছুটা ভাত টকদই (Curd Eating Benefits) দিয়ে খাওয়া। নিয়মিত যদি আপনার মেনুতে কিছুটা পরিমাণে টকদই রাখেন, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তবে টকদইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাবেন না। চাইলে স্বাদের জন্য বিটনুন মিশিয়ে খেতে পারেন। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ভাতের পরে নিয়মিত টকদই খেলে কী কী উপকার হবে আপনার স্বাস্থ্যের। 



  • টকদইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিকস। আমরা যা খাবার খাই সেগুলিকে সহজে হজম করাতে সাহায্য করে এই টকদই। 

  • অনেকেই ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের জন্য দুধ খেতে পারেন না। সেক্ষেত্রে টকদই একটা পরিবর্ত কিংবা বিকল্প খাবার হিসেবে রাখতে পারেন মেনুতে। 

  • প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিনে ভরপুর টকদই আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। হাড়ের গঠন মজবুত করে। হাড় ক্ষয় কিংবা ভঙ্গুর হয়ে দেয় না। 

  • নিয়মিত টকদই খেতে পারলে দ্রুত হারে কমবে আপনার ওজন। আর যদি এর সঙ্গে শসা মিশিয়ে নিতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন দ্রুত। ওজন কমাতে অনেকেই দিনে অন্তত একবার টকদই আর শসা খেয়ে থাকেন। 

  • আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুদৃঢ় করতে কাজে লাগে টকদই। আসলে এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ আমাদের শরীর ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভাল রাখে। ফলে সহজে রোগ হবে না আপনার। ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়বেন না। 

  • টকদই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু ত্বকে লাগালেই হবে না। খেতেও হবে। টকদইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড আমাদের ত্বকের জেল্লা বজায় রাখে। ত্বক হাইড্রেটেড রাখে। 

  • ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কাজে লাগে টকদই। তাই ডায়াবেটিস থাকলে আপনি খেতে পারেন টকদই। তবে চিনি খাবেন না এর সঙ্গে। টকদইয়ের সঙ্গে নুন মিশিয়ে খেলে আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যও বজায় থাকে। তবে খুব বেশি নুন মেশাবেন না। তাহলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। কিংবা বাড়তে পারে ব্লাড প্রেশারের মাত্রা। 


আরও পড়ুন- সদ্যোজাত শিশুর ত্বকের পরিচর্যায় কোন কোন বিষয় অতি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন? 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।