Newborn Skin Care Routine: ত্বকের পরিচর্যা (Skin Care) সব বয়সীদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। নবজাতকদের (Newborn) ক্ষেত্রেও ভীষণ ভাবে জরুরি এই ত্বকের দেখভালের বিষয়টি। আর যেহেতু সদ্যোজাত তাই একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয় ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়। কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হচ্ছে, কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সবদিকেই নজর রাখতে হয়। একদম ছোট্ট বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় কোন কোন ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে জেনে নিন। 



  • নবজাতকদের ত্বকের পরিচর্যার সময় খুব হাল্কা ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ সাবান, শ্যাম্পু খুব বেশি ফেনা হবে এমন প্রয়োজন নেই। কী ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন সেই প্রসঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি। 

  • বাচ্চাদের শ্যাম্পু করানোর সময় সতর্ক থাকুন যাতে কোনওভাবে শ্যাম্পু চোখে না ঢুকে যায়। তাহলে খুবই কষ্ট হবে বাচ্চারা। অতএব সতর্ক ভাবে পরিচর্যা করতে হবে। 

  • নবজাতকদের সাবান মাখিয়ে স্নান করার সময়েও সতর্ক থাকুন। একদম আলগা হাতে আলতো ভাবে সাবান লাগিয়ে দিতে হবে বাচ্চাদের গায়ে। জোরে ঘষতে যাবেন না একেবারেই। কারণ জোরে ঘষলে ত্বকে র‍্যাশ হতে পারে। কিংবা দেখা দিতে পারে অন্যান্য সমস্যাও। 

  • সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার স্নান করানোই একদম সদ্যোজাতদের জন্য যথেষ্ট। বয়স একটু বাড়লে স্নানের দিন বাড়ানো উচিত। তবে এই ব্যাপারে চিকিৎসকরাই সবচেয়ে ভাল পরামর্শ দিতে পারবেন। 

  • বাচ্চাদের ত্বক যাতে রুক্ষ, শুষ্ক না হয়ে যায় সেই জন্য ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। তবে খুব সাধারণ উপকরণ যুক্ত হাল্কা ময়শ্চারাইজার কিংবা ক্রিম ব্যবহার করতে পারে। নাহলে র‍্যাশ, অ্যালার্জি হতে পারে নবজাতকের শরীরে। 

  • স্নানের পর কখনই বাচ্চার গা-মাথা জোরে ঘষে মোছাতে যাবেন না। খুব সাবধানে নরম তোয়ালে বা গামছে দিলে আলতো হাতে গা-মাথা মুছিয়ে শুকনো করে দিন। খেয়াল রাখবেন যাতে কোনওভাবেই শিশু চোট, আঘাত, ব্যথা না পায়। 

  • খুব উগ্র গন্ধ যুক্ত কোনও প্রোডাক্ট সদ্যোজাতদের ত্বক এবং চুলের পরিচর্যায় ব্যবহার করবেন না। এর জেরে হিতে বিপরীত হতে পারে। 

  • বাচ্চাদের ডায়পার পরানো হয় প্রায় সব বাড়িতেই। এই ডায়পার থেকে চট করে র‍্যাশ হতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে চাইলে ভিজে যাওয়া ডায়পার। টের পেলে সবার আগে ওই ভেজা ডায়পার ফেলে দিতে হবে। 

  • বাচ্চাকে পাউডার মাখাতে পারেন। তবে একগাদা পরিমাণে পাউডার মাখাবেন না। এর জেরে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যেতে পারেন। 


আরও পড়ুন- অতিরিক্ত ঝাল, তেল-মশলাদার খাবার খাচ্ছেন নিয়মিত? কী কী শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে? 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।