Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারের (fatty Liver) সমস্যায় অনেকেই ভুক্তভোগী। এক্ষেত্রে মূলত লিভার বা যকৃতে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হয়। ওবিসিটি, বেশি মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভারের বিষয়টি লক্ষ্যণীয়। যদি আপনার ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকলে তাহলে অবশ্যই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে। এর পাশাপাশি প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন (Healthy Lifestyle Tips) আনা প্রয়োজন। সেগুলি কী কী একনজরে দেখে নিন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রচুর বাইরের খাবার খেলে, লাগামছাড়া অ্যালোকহল পানের অভ্যাস থাকলে ফ্যাটি অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দেবেই।
সবুজ শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন- এই তালিকায় আপনি রাখতে পারেন পালং শাক, কালে, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, লাউ- এইসব খাবার। আপনার লিভারের স্বাস্থ্যের পক্ষে এই সবকটি খাবারই খুব উপকারি। উল্লিখিত সবুজ শাকসবজির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে যেগুলি মানবদেহে সেল বা কোষ ড্যামেজ হওয়ার থেকে রক্ষা করে।
জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন যতটা সম্ভব- ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূর করার জন্য বাইরের খাবার, স্ট্রিট ফুড অর্থাৎ জাঙ্ক ফুড একেবারেই বাদ দিতে হবে মেনু থেকে। তেলমশলাযুক্ত গুরুপাক খাবার না খাওয়াই মঙ্গলের। হাল্কা সহজপাচ্য খাবার খেতে পারলেই ভাল। তবে নজর রাখবেন যাতে কোনও উপকরণের ঘাটতি হয় না হয়। জাঙ্ক ফুড এবং প্রসেসড খাবারে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর থকে ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিসের মাত্রা- ফ্যাটি অ্যাসিডের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। নাহলে ঝুঁকি বাড়বে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
নিয়ম করে শরীরচর্চা- লিভারের ফ্যাট কমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করার মতো ভাল আর কিছু হতে পারে না। রোজ শরীরচর্চা করলে ওজনও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে ওয়ার্ক আউট করার দরকার নেই। ফিট থাকার জন্য বাড়িতেই সাধারণভাবে শরীরচর্চা করতে পারেন।
অ্যালকোহলে না- ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় অ্যালকোহল থেকে একেবারেই দূরে থাকা দরকার। নাহলে শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে পারে। অ্যালকোহল আসলে লিভারের প্রবল ক্ষতি করে। এছাড়াও আরও অনেক শারীরিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে একধাক্কায়।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন