Binge Watching: উইকেন্ড মানেই বিঞ্জ ওয়াচিং (Binge Watching) করছেন? এমন কোনও ওয়েব সিরিজ (Web Series) নেই যা দেখেননি। রিলিজের পর সিরিজ না দেখা হলে মন উচাটন হচ্ছে? তাহলে বিঞ্জ ওয়াচিংয়ের কিছু নেতিবাচক প্রভাব আপনার মধ্যে পড়েছে একথা বলা যায়। সপ্তাহ শেষে কাজের চাপ থেকে মুক্তির জন্য নিঃসন্দেহে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ দেখুন, একা বা পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে বিঞ্জ ওয়াচিংও করুন। কিন্তু অভ্যাস বা নেশা না হলেই আপনার জন্য মঙ্গলের। নাহলে একাধিক সমস্যায় ভুগতে হতে পারে আপনাকে।
বিঞ্জ ওয়াচিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব
- সাধারণত রাত জেগে বিঞ্জ ওয়াচিংয়েরই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে রাতের ঘুমে সমস্যা হতে পারে। টানা রাত জেগে সিনেমা, সিরিজ, খেলা কিছুই দেখা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। কারণ একটানা বিঞ্জ ওয়াচিং করলে অর্থাৎ ধরে নিন প্রতি উইকেন্ডেই আপনি এমনটা করছেন তাহলে গ্যাজেট আপনার নেশা হয়ে যাবে। একা থাকলে, ফাঁক পেলেই হাতে মোবাইল বা ট্যাব নিয়ে আপনি কিছু দেখতে বসে যাবেন।
- রাত জেগে বিঞ্জ ওয়াচ করলে ঘুমের বারোটা বাজতে বেশি সময় লাগবে না। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগতে পারেন আপনি। রাতে ঠিকভাবে ঘুম না হলে সারাদিন ক্লান্তি লাগবে আপনার। কাজের প্রতি অনীহা জন্মাবে। কাজের মাঝে ঘুম পেতে পারে। ক্লান্ত শরীরের কারণে মনঃসংযোগের অভাব হতে পারে। সারাদিনই একটা ঝিমানি ভাব দেখা যাবে রাতে সঠিকভাবে ঘুম না হলে।
- যাঁদের মাথা যন্ত্রণার সমস্যা রয়েছে তাঁরা রাত জেগে ঘর অন্ধকার করে কম আলোয় মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ দেখার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। অন্যথায় মাথা ব্যথার সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়াও কম আলোয় এবং মোবাইল বা ওই জাতীয় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের স্ক্রিনের আলোয় চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
- বিঞ্জ ওয়াচিংয়ের সঙ্গে আসে মিডনাইট স্ন্যাকিংয়ের প্রবণতা। অর্থাৎ রাত জেগে কিছু দেখার সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকে মুখও। মিডনাইট স্ন্যাকিং মানেই মেনুতে থাকে চিপস, পপকর্ন, কোল্ড ড্রিঙ্ক, আইসক্রিম বা বিভিন্ন প্যাকেটজাত ফ্রায়েড ফুড। এইসব খাবারই স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে মিডনাইট স্ন্যাকিংয়ের প্রবণতা।
- বিভিন্ন গবেষণা এবং সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যাঁরা নিয়মিত ভাবে বিঞ্জ ওয়াচিংয়ে অভ্যস্ত তাঁরা ক্রমশ সামাজিক মেলামেশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।এমনকি মস্তিষ্কের প্রখরতা কমতে পারে তাঁদের। রাত জেগে বিঞ্জ ওয়াচ করার জেরে দিনে ক্লান্ত অবসন্ন শরীরে আর কাজ করার শক্তি পাবেন না আপনি। এই অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারেন আপনার অবসাদের মাত্রাও।