কলকাতা: পেঁয়াজ রসুন নিরামিষ না আমিষ এই নিয়ে তর্ক রয়েছে। ভারতের একেক স্থানে একেকরকম রীতিনীতি রয়েছে। সেই মাফিক কখনও এটি আমিষ কখনও আবার নিরামিষ। কিন্তু ভাত নিরামিষ হয়। আমিষ ভাতের কেউ কখনও শুনেছে বলেও মনে করা মুশকিল। তবে বিজ্ঞানের পরীক্ষাগারে কি না হয় ! সেই কায়দাতেই এবার আমিষ ভাত ফলিয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা। ভাতে আমিষ খাবার ছুঁইয়ে দিয়ে আমিষ ভাত। এ একেবারে জন্ম থেকেই আমিষ। কীভাবে ? 


মিট রাইস !


ভাত খাচ্ছেন । কিন্তু মূলত কার্বোহাইড্রেট খাচ্ছেন। যা বেশি ফলে শরীরে একগাদা রোগ দেখা দিতে পারে‌। এবার তাই বিজ্ঞানীরা খোঁজ দিলেন ‘প্রোটিন’ ভাতের। অর্থাৎ ভাত খাবেন। কিন্তু শরীরে প্রোটিনও ঢুকবে। এর সঙ্গে মিলবে ফ্যাটও। নয়া মিট রাইসের আবিষ্কার হল গবেষণাগারে। সম্প্রতি ওনসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমলিকিউলার ইঞ্জিনিয়ার সোহিয়োন পার্ক এই ভাত আবিষ্কার করেন। তাঁর এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ম্যাটার জার্নালে।


বেগুনি রঙের ভাত


এই ভাতের রং বেগুনি। খেতেও কিছুটা আলাদা। কীভাবে এই ভাত ফলানো হল গবেষণাগারে ? বিজ্ঞানী সোহিয়োন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সেল কালচার করে এই ভাত ফলানো হয়েছে। এর জন্য প্রথমে চালকে ফুড গ্রেড মাছের জিলেটিন ও ফুড এনজাইস দিয়ে কোটিং করা হয়েছে। এবার সেগুলি পোঁতার সময় গরুর পেশি ও চর্বির স্টেম কোশকে ব্যবহার করা হয়েছে। এর পর একটি পেট্রি ডিশে ১১ দিনে ফলানো হয়েছে এই ভাত। 


কেমন খেতে এই ভাত 


ভাত ফলানোর পর সোহিয়োন ও তার সহকর্মীরা এই ভাতের গুণাগুণ পরীক্ষা করেন। তাতে দেখা যায়, ভাত কিছুটা শক্ত। তবে এটি ভাঙা মোটেই কঠিন নয়। অর্থাৎ খেতে বিশেষ অসুবিধা হবে না। ভাতকেই কেন বেছে নেওয়া হল, তাও জানান সোহিয়োন। তার কথায়, বেশিরভাগ মানুষই মুখ্য খাবার হিসেবে ভাত পছন্দ করেন। তাই এর মধ্যে অন্যান্য পুষ্টিগুণ ভরে দেওয়ার কথা ভেবেছেন তিনি। আমিষ ভাত ফলানোর পর দেখা গিয়েছে, এতে ৮০ শতাংশ স্টার্চ, ২০ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে। সাধারণ ভাতের তুলনায় এতে ৮ শতাংশ বেশি প্রোটিন ও ৭ শতাংশ বেশি ফ্যাট রয়েছে। তবে এর পুষ্টিগুণ নিয়ে আরও গবেষণা করার আশ্বাস দিয়েছেন সোহিয়োন। অর্থাৎ গুণের দিকে ভবিষ্যতে আরও উন্নত হতে চলেছে আমিষ ভাত।


আরও পড়ুন - Night Leg Cramp: ঘুমের মধ্যে হঠাৎ পায়ে টান, তীব্র ব্যথা - কীসের লক্ষণ ?