কলকাতা: এই মুহূর্তে গোটা বিশ্ব জুড়ে যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে শারীরিক ক্ষতির তুলনায় অনেক বেশি চাপ পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যে (Mental Health)। করোনা অতিমারির সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে মানসিক স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। সংক্রমণের আশঙ্কার পাশাপাশি চাকরি বাঁচানোর চিন্তা কিংবা আরও অনেক সমস্যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাহত হচ্ছে। সম্পর্তি 'জার্নাল অফ হ্যাপিনেস স্টাডিস'-এ একটি তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। যে তথ্যে জানা গিয়েছে মানুষের খুশির (Happiness) মাত্রা কোন কোন কারণে বেড়েছে। তথ্যটির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং রোজকার খাবারের তালিকায় ফল এবং টাটকা শাক-সব্জি থাকলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে খুশির মাত্রাও বাড়ছে।


আরও পড়ুন - Diabetics Health Tips: মধুমেহ রোগীরা সুস্থ থাকতে কী কী খাবেন আর কোন খাবার খাবেন না?


রোজকার জীবনযাত্রার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের একটা নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। লাইফস্টাইল যদি আমাদের স্বাস্থ্যকর থাকে, তাহলে তার প্রভাব আমাদের শরীরে যেমন পড়ে, পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যে পড়ে। শরীর সুস্থ থাকলে মন এবং মস্তিষ্কও সুস্থ থাকে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। সেই সূত্র অনুযায়ীই তাঁরা জানাচ্ছেন যে, শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল প্রয়োজন। এর জন্য নিয়মিত খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা খুবই জরুরি। এর সঙ্গে শরীর এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চাও করা জরুরি। শরীরে যদি সঠিক মাত্রায় উপকারী উপাদান পৌঁছয়, তাহলে তা আমাদের শরীরকে যেমন বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে, তেমনই মানসিক স্বাস্থ্যেরও অনেক উন্নতি করে। 


আরও পড়ুন - Basic skincare: রোজকার জীবনে করা যে ভুলগুলোর জন্য ত্বকে ব্রন-অ্যাকনে ভরে যাচ্ছে


বিশেষজ্ঞদের করা একটি সমীক্ষায় তাঁরা দেখেছেন যে, পুরুষেরা বেশি শরীরচর্চায় মন দেন। যেখানে মহিলারা বেশি পরিমাণে ফল এবং সব্জি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু যে সমস্ত নারী বা পুরুষরা একই সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা এবং নিয়মিত খাবারের তালিকায় ফল এবং শাক-সব্জি রাখছেন, তাঁদের মধ্যে খুশির হার তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। বর্তমানে অনিয়মিত লাইফস্টাইলের কারণে সারা বিশ্বে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। তাই এই সময়ে সুস্থ থাকতে প্রথমেই স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।