Environmental Pollution: রুষ্ট হচ্ছেন প্রকৃতিমাতা। মানুষের নানা কার্যকলাপের জেরে ক্ষতি হচ্ছে একমাত্র বাসগ্রহ এই পৃথিবীর। সম্প্রতি পরিবেশ দূষণ ও তার জেরে জলবায়ু পরিবর্তনের নানা কারণ নিয়ে এবিপি লাইভে বিশদে কথা বললেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। 


গ্লোবাল ‘ওয়ার্নিং’!


আলোচনার গোড়াতেই নিজেকে পরিবেশে রক্ষার লড়াইয়ে পদাতিক সৈনিক বলে উল্লেখ করেন সুভাষ দত্ত। তাঁর কথায় , এই ঘটনাগুলি আসলে সাবধানবাণী। প্রকৃতি মায়ের সতর্কবার্তা। গ্লোবাল ওয়ার্মিং নয়, এই সতর্কবার্তা তাঁর কথায়, গ্লোবাল ‘ওয়ার্নিং’! কেন এই ওয়ার্নিং দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হল, তাও আনলেন আলোচনায়।


কেন আরও উষ্ণ হচ্ছে বিশ্ব ?


তীব্র গরমে সারা রাজ্য কাহিল। এই অবস্থাতেই এক প্রাসঙ্গিক বক্তব্য উঠে এল পরিবেশবিদের আলোচনায়‌। সুভাষবাবু বললেন, একটি নৌকার কথা। একটি নৌকায় অনেক যাত্রী একসঙ্গে উঠে পড়লে নৌকাটি টালমাটাল হয়। তখন সবাই বাঁচতে গিয়ে হুড়োহুড়ি করে। ফলে আরও বিপদ বাড়ে। ঠিক একইভাবে একই ঘটনা চলছে আমাদের পৃথিবীতে। উষ্ণতা বাড়ছে মানুষেরই কিছু কৃতকর্মের কারণে। আর উষ্ণতার হাত থেকে বাঁচার জন্য কেউ কেউ এসির মতো বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্য নিচ্ছেন। যার জেরে উষ্ণতা আরও বাড়ছে। 


বিদ্যুৎ উৎপাদনের জের 


বিদ্যুৎ উৎপাদনের জেরে প্রচুর পরিমাণে কার্বন নির্গমন হয় । আমাদের রাজ্যের একটি খতিয়ান তুলে ধরলেন সুভাষ দত্ত। পশ্চিমবঙ্গের ৯৭ ভাগ বিদ্যুৎ আসে কয়লা পুড়িয়ে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, প্রতি ১ ইউনিট বিদ্যুৎ তৈরি করতে হলে ১.৩ কেজি কার্বন নির্গমন হয়। আর এই কার্বন নির্গমন হল মানুষের কার্বন ফুটপ্রিন্ট। সুভাষবাবুর কথায়, রোজগার কম হলে আমরা যেমন হিসেব করে খরচ করি, তেমনই বুঝে খরচ করতে হবে বিদ্যুৎশক্তি। তাই প্রচণ্ড গরম পড়লেও এসি যে স্থায়ী যে সমাধান নয়, তা বুঝতে হবে দ্রুত।


বিনামূল্যে বিদ্যুৎ আসলে নিজেদেরই নিজে ফাঁদে ফেলা


এই প্রসঙ্গে সুভাষবাবুর কথায় উঠে আসে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গ।  রাজনৈতিক নেতারা বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন যা একভাবে অনুচিত বলে মনে করেন তিনি। তার কথায়, একটা ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ফ্রি দেওয়া যেতে পারে। তার বেশি দিলে মানুষ যথেচ্ছ খরচ করবে যা আদতে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর বিপদ বাড়িয়ে দেবে। 


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Plastic Pollution: Branded সংস্থার জেরে বাড়ছে প্লাস্টিক দূষণ, শীর্ষে পরিচিত নামেরা