কলকাতা : সুস্থ জীবনযাত্রা মানেই চিনি খাওয়াটা বাদ দিতে হবে। এই চিন্তাধারায় বিশ্বাসী অনেকেই। রোগা হতে চান? চিনি বাদ দিন। সুস্থ থাকতে চান? চিনি বাদ দিন। চিনিকে দূর করতে পারলেই যে সব লক্ষ্যপূরণ হয়ে যাবে এমনটাও নয় কিন্তু। চিনি নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা অনেকের মনে জমা হয়। সেগুলি বাদ দিতে পারলে সঠিক দিশায় এগনো যায়। NDTV কে এমন কিছু বিশেষ টিপস শেয়ার করেছেন পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা।
চিনির আসক্তি কাটিয়ে উঠতে পারেন না অনেকেই । যাইহোক, চিনি খেলেই যে সর্বনাশ, সর রোগ হবেই, এমন কথা নয়। কারো কারো ক্ষেত্রে, বেশি মিষ্টি খেলে ডোপামিন বাড়তে পারে। তবে এটি আসক্তির মতো গুরুতর সমস্যা নয়। কেউ কেউ একটু মিষ্টি খাওয়ার জন্য ছটফট করেন। খাবারেও বেশি চিনি খান। খিদে পেলেও একটু মিষ্টি জাতীয় কিছু খেয়ে খিদে-তেষ্টা মেটাতে চান।
ভুল ধারণা : সকলকে জিরো সুগার ডায়েট ফলো করতে হবে
চিনি বেশি খাওয়া ভাল নয়। তবে চিনি আপনার শত্রুও নয়। ওজন কমাতে বা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য, অনেকেই খাবার থেকে চিনি এক্কেবারে বাদ দিয়ে দেন। তবে আসল সত্যিটা হল,অতিরিক্ত চিনি খাওয়া খারাপ। তবে এক জনের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই কতটা চিনি খাওয়া যায়, তা ঠিক করা যায়। চিনির অত্যধিক ব্যবহার এবং মিষ্টি পানীয় খাওয়া এড়িয়ে চললে ভাল। তবে এক্কেবারে মিষ্টি না খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা : কৃত্রিম সুইটনার খাওয়া ভাল
বাজারে বহুরকম কৃত্রিম মিষ্টিযুক্ত খাবার পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, এগুলো খেলে কোনও ক্ষতি নেই। তবে কারও কারও মতে এই সব কৃত্রিম সুইটনার অতিরিক্ত খেলে অসুখ-বিসুখ করতে পারে। বরং ফলের মিষ্টি , মধু বা জ্যাগারি পাওডার ব্যবহার করা যেতে পারে। গবেষণা বলছে, কৃত্রিম সুইটনারের আসক্তি কাটিয়ে ওঠা মুশকিল। কৃত্রিম সুইটেনার অত্যধিক ব্যবহারের ফলে ডায়াবেটিস এবং এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
ভুল ধারণা : চিনি থেকে ক্যাভিটি হয়
চিনি এবং মিষ্টি পানীয় দাঁতে অতিরিক্ত ক্যাভিটির কারণ হয়। তবে এক্ষেত্রে চিনি একা দোষী নয়। চিকিৎসকরা বলছেন, একেবারে বাদ না দিয়ে, চিনি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটেনারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক মিষ্টিগুলি খাওয়া যেতে পারে। যেমন ফলের মিষ্টি।
ভুল ধারণা : চিনি ডায়াবেটিস সৃষ্টি করে
যাঁদের পরিবারে ডায়াবেটিসের প্রবণতা আছে, তারা মনে করেন, চিনি খেলেই ডায়াবেটিস হবে। এটি একদম ভুল ধারণা যে চিনি খাওয়া সরাসরি ডায়াবেটিস সৃষ্টি করে। ডায়াবেটিসকেই তো চলতি ভাষায় সুগার বলা হয়। কারও ডায়াবেটিস হবে কি না, তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির পারিবারিক ইতিহাস, জিন, বয়স, শরীরের ওজন, PCOS এবং শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রার উপর।
( ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।)