সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে যক্ষ্মা-মুক্ত করে তোলার উদ্য়োগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সেই উদ্দেশ্যে শুরু হয় ‘প্রধানমন্ত্রী টিবি মুক্ত ভারত অভিযান’। কিন্তু, বাজারে এখন সেই যক্ষ্মার ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে বলে দাবি করে, অ্যাসোসিয়েশন অফ চেস্ট ফিজিশিয়ানের তরফে চিঠি দেওয়া হল সব জেলার যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের সাথে যুক্ত স্বাস্থ্য় আধিকারিকদের। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় কেন্দ্র এমনকী খোলা বাজারেও টিবির ওষুধের কমতি দেখা যাচ্ছে। যার ফলে সমস্য়ায় পড়ছে যক্ষ্মা রোগীরা।
কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের উপাধ্যক্ষ, অঞ্জন অধিকারী জানালেন, সমস্য়া বেশ গুরুতর পর্যায়ে, যা স্টক আছে তাতে আর তিন চার সপ্তাহ চলার মতো। এদিকে দেশজুড়ে এই বিপুল পরিমাণ যক্ষ্মার রোগী। তার ওপর এই রোগ যথেষ্ট সংক্রামত। স্বাস্থ্য় দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে বর্তমানে এক লক্ষেরও বেশি যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেই রাজ্য়গুলিতে বিনামূল্য়ে জোগান দেওয়া হত যক্ষ্মার ওষুধ। তবে চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে ওষুধের যোগান কমতে থাকে। ১৮ মার্চ কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রাজ্য়কে বলা হয় অনিবার্য কারণে ওষুধ সরবারহে সমস্য়া হচ্ছে।
এরপরই রাজ্য় সরকারের তরফে ২৯ টি জেলা, স্বাস্থ্য় জেলাকে বাজার থেকে যক্ষ্মার ওষুধ কেনার জন্য় ৩৬ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। জেলা সূত্রে খবর সেই অর্থও প্রায় শেষ। এখানেই শেষ নয়। সূত্রের দাবি, হাতে গোনা কয়েকটি সংস্থা তৈরি করে এই ওষুধ। বর্তমানে বাজারে কিনতে গেলে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে ওষুধের। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী জানালেন, 'গোটা দেশ নির্বাচন মেতে রয়েছে সরকার কোনও কাজ করছে না মানুষেরর কথা কেউ ভাবছে না।'
এই সমস্যার প্রেক্ষিতে দ্রুত কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাই এখন দেখার।
যক্ষ্মার লক্ষণগুলি :
- কাশি না কমতে চাওয়া
- প্রায়ই জ্বর। সেরে যাচ্ছে, আবার আসছে। সঙ্গে ঘুষঘুষে কাশি।
- পেটের যন্ত্রণা।
- গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া।
- পেটের সমস্যা
- ইউরিনের সমস্যা
- পিঠে ও কোমরে ব্যথা।
- প্রস্রাবে রক্ত
- খিদে না পাওয়া
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'দিল্লির পরিযায়ী পাখিরা বাংলায় এসে বাংলা সম্পর্কে মিথ্যে ছড়ায়,' ফের আক্রমণে মমতা