কলকাতা : বর্তমানে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি তাতে মানসিক চিন্তা, অবসাদ, উত্তেজনা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, স্ট্রেস এই সমস্যাগুলো রোজকার জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এর ফলে অচিরেই ক্ষতি হচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্যের। করোনা পরিস্থিতিতে যখন আমাদের জীবনে বা লাইফস্টাইলে অনেক পরিবর্তন এসেছে, তখন বিশেষজ্ঞরা বিশেষভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর দৈনন্দিন অভ্যাস মেনে চলার। যাতে অন্য কোনও অসুখের শরীরে বাসা বাঁধা আটকানো যেতে পারে। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা সমীক্ষা করে দেখেছেন যে, আমাদের লাইফস্টাইলে এমন অনেক অভ্যাস রয়েছে, যা আমরা রোজ করছি আর তাতে নিজেদের অজান্তেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে ফেলছি।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অহেতুক কুড়েমি বা আলসেমি আজকের দিনে স্বাস্থ্য়ের জন্য একটা বড় সমস্যা। এটা যে শুধু শরীরের ক্ষতি করে, তাই নয়। শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও অনেক ক্ষতি হয়। অলসতা আমাদেরকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে বাধা সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরকে অলস করে রাখলে, তার জন্য আমাদের মধ্যে সঠিক খাবার খাওয়া কিংবা পর্যাপ্ত জল খাওয়া, তার উপরও প্রভাব পড়ে। 


২. বর্তমান সময়ের ব্যস্ততায় ভরা জীবন আর অত্যধিক কাজের চাপে অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। আমরা বাড়িতে রান্না করা খাবারের পরিবর্তে বাজার থেকে কেনা খাবার খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কারণ, একে তো আমাদের হাতে রান্না করার সময় কম। পাশাপাশি, দোকানের কেনা খাবার বা প্যাকেটজাত খাবার জিভের স্বাদকোরকগুলোকে একটু বেশি আন্দোলিত করে তোলে। কিন্তু এই অভ্যাস রোজ হলে আদতে তা শরীর এবং স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে ওজন বেড়ে যাওয়া এবং অনেক অসুখের সম্ভাবনা থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


৩. স্ট্রেস এবং উত্তেজনা। আজকের দিনে এই সমস্ত সমস্যার কথা প্রায়শই শোনা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম, পর্যাপ্ত খাবার এবং জল খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তির রাস্তা পাওয়া সম্ভব।


৪. কত গ্লাস জল আপনি প্রত্যেকদিন পান করেন? একটা বিষয় সবসময় মাথায় রাখা প্রয়োজন যে, শরীরকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া খুবই জরুরি। আমাদের শরীর যদি সঠিকভাবে হাইড্রেটেট থাকে, তাহলে অনেক অসুখ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ত্বককে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর রাখতেও সাহায্য করে জল। কিন্তু শরীরে যদি জলের পরিমাণ যদি কম থাকে, তাহলে তা ডেকে আনতে পারে অনেকরকম অসুখ।