কলকাতা: জিনগত কারণে হোক কিংবা অন্যান্য কারণে, অনেকের মধ্যেই অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার (Aging) প্রবণতা দেখা দেয়। ত্বকের শুধু বয়সের ছাপ পড়াই নয়, মানসিক দিক থেকেও বৃদ্ধভাব চলে আসে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের লাইফস্টাইল অনেকটাই নির্ভর করে। আমরা কী খাচ্ছি, কীভাবে জীবন কাটাচ্ছি, তার উপর আমাদের বাহ্যিক বয়স নির্ভব় করে। বাকি শরীরের বয়স (Age) তো কেবল সংখ্যা মাত্র। বহু মানুষই রয়েছেন, যাঁরা অনেক বয়স হয়ে গেলেও কী অসাধারণভাবে তারুণ ধরে রেখেছে। 


অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যাওয়ার কারণ-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার নানা কারণ রয়েছে। আমাদের লাইফস্টাইলে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া, ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া, পেশিতে জোর না থাকা, মাথা ঘোরা, দুর্বলভাব এসবই বয়সের লক্ষণ। কম বয়সেও অনেকের মধ্যে এই সমস্ত লক্ষণ দেখা দেয়। কোন কোন অভ্যাস ত্যাগ করলে অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে, তা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকেরই অভ্যাস থাকে সারাদিন বসে থাকা। শরীরের নড়াচড়া সুস্থ থাকার জন্য খুবই জরুরি। শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্য দুই ভালো থাকে এর ফলে। সারাদিন বসে থাকলে নানা জটিল রোগেরও শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্যানসার, রক্তচাপ অনয়ন্ত্রিত থাকা, ওবেসিটি, অবসাদ, উদ্বেগ এবং আরও নানা অসুখ দেখা দিতে পারে এই অভ্যাসের কারণে।


২. সুস্থ থাকতে বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। সঠিক খাবার শুধু আমাদের শরীরকেই সুস্থ রাখে না, তার সঙ্গে মানসিক দিক থেকেও সুস্থ রাখে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।


আরও পড়ুন - Health Tips: খালি পেটে এক চামচ ঘি খেলে কী হবে জানা আছে?


৩. বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই জানান, হাসির থেকে বড় ওষুধ আর কিছু নেই। হাসলে শরীরের সঙ্গে মনও সুস্থ থাকে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসিমজা করুন। প্রয়োজনে ইউটিউবে নানা হাসির ভিডিও পাওয়া যায়, সেগুলো দেখতে পারেন। না হাসলে শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে বলে মত তাঁদের।


৪. জীবনে কোনও লক্ষ না থাকা, অহেতুক এবং অত্যধিক পরিমাণে ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসের ফলেও অকালে বুড়িয়ে যেতে পারেন।


৫. শরীরচর্চা না করলে, সারাদিন বাড়ির ভিতরে থাকলে, অত্যধিক ঘুম কিংবা খুব কম ঘুমের কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।