কলকাতা: অনেকেই দীর্ঘদিন ডায়েট (Diet) করেও রোগা হতে পারেন না। বৃথা যায় সব চেষ্টাই। শেষে হতাশ হয়ে আশাই ছেড়ে দেন সকলে। ফলে ওজন কমানোর পথে বাধা থেকেই যায়। তাহলে উপায়? ডায়েট তো করবেন। সঙ্গে এই কয়েকটা টিপস মাথায় রাখলে ফল পাবেন হাতেনাতে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন রোগা হতে গেলে।
ডায়েট এবং ব্যায়াম দুই-ই দরকার: প্রথমে মাথায় রাখতে হবে শুধু ডায়েট বা শুধু এক্সারসাইজে রোগা হওয়া সম্ভব নয়। ডায়েট এবং এক্সারসাইজ দুটোই সমানভাবে চালিয়ে যেতে হবে।
দিনে ঘুমোচ্ছেন কতক্ষণ? শুধু ডায়েট নয়, রোগা হতে গেলে পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি। মধ্যরাত অবধি জেগে থাকলে একাধিক সমস্যা দেখা দেবে শরীরে। পাশাপাশি ওজনও বাড়বে। তাই অন্তত ১১টার মধ্যে সব কাজ মিটিয়ে শুতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ৮ ঘণ্টা ঘুমান।
ঠিক মতো জল খাচ্ছেন তো? ওজন ঝরানোয় জলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সারাদিনে অন্তত ৩ লিটার জন খান। ফ্রিজের ঠান্ডা জল একেবার বর্জন করুন এবং চেষ্টা করুন হালকা গরম জল খাওয়ার।
না খেয়ে আদৌ রোগা হওয়া যায়? দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থেকে অনেকেই মনে করেন ওজন বুঝি কমে যাবে। কিন্তু এই ধারনা একেবারে ভুল। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থেকে যখনই আপনি খাবেন, সেই খাবার ফ্যাট হিসেবে দেহে সঞ্চিত হবে। ফলে ওজন বাড়বে। তাই ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর হালকা খাবার খান।
খেয়েই ঘুম? সকাল থেকে না খেয়ে থেকে রাতে অনেকেই পেটভরে ডিনার সেরে ঘুমাতে চলে যান। এটা একেবারেই করা চলবে না। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দেড় থেকে দু ঘণ্টা আগে খাবার খান। তারপর হালকা হাঁটাচলা করে তারপর ঘুমাতে যান।
রোজই চিট ডে? একসপ্তাহ ডায়েট আবার একসপ্তাহ ভুড়িভোজ। এই নিয়মে চললে কিন্তু ওজন কমানো কঠিক। ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। সপ্তাহ একটা দিন বা দু-সপ্তাহে একদিন চিট ডে রাখতে পারেন। কিন্তু এর বেশি নয়।
কী কী বাদ দেবেন? চিনি দেওয়া দুধ চা, বিস্কুট, ভাত, রুটি, পাউরুটি, মুড়ি, মিষ্টি একেবারে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। অল্প ভাত খাওয়া খেলে অন্যগুলো নৈব নৈব চ।