কলকাতা : বর্ষাকাল মানেই বাড়িতে থাকলে অলস দিন, বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি আর তার সঙ্গে চা-পকোড়া। বাড়িতে থাকুন আর অফিসের কাজেই ব্যস্ত থাকুন। কাজে মন দেওয়ার পাশাপাশি বর্ষাকালে ত্বক এবং চুলের সমস্যা যেন পিছু হঠতেই চায় না। আবহাওয়ায় আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় বর্ষাকালে ত্বক হয়ে ওঠে নির্জীব, তেলতেলে। চুলের ক্ষেত্রেও তাই। এই সময়ে নিষ্প্রাণ ত্বক এবং চুলকে ফের জেল্লাদার করে তুলতে ব্যবহার করা দরকার উপযোগী প্রোডাক্ট। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, কীভাবে এই সময়ে ত্বক এবং চুলে ফের জেল্লা ফিরে পাবেন।
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্ষাকালে আবহাওয়ায় আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অতিরিক্ত ঘামের কারণে ত্বকে ধুলো এবং দূষণও বেশি প্রভাব বিস্তার করে। এর ফলে ত্বকে অ্যাকনে বা ব্রণ-র সমস্যাও মাথাচাড়া দেয়। তাই এই সময়ে ত্বক পরিষ্কারের জন্য সঠিক প্রোডাক্টও ব্যবহার করা দরকার। তাঁরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, এই সময়ে ফেসওয়াশ হিসেবে হালকা কোনও ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। ক্লিনজার বাছাই করার সময় খেয়াল রাখবেন তাতে যেন অ্যালোভেরা বা নিমের মতো উপকারী উপাদান থাকে এবং অবশ্যই তা কেমিক্যালবিহীন হয়।
২. এই সময়ে ওপেন পোরসের সমস্যা ত্বককে আরও নিষ্প্রাণ করে তোলে। যার ফলে ব্রণ বা অ্যাকনের সমস্যা আরও বেশি করে দেখা দেয়। ওপেন পোরসের সমস্যা দূর করতে টোনার হিসেবে গোলাপজল, গ্রিন টি, লেবু বা শশার রস হালকা হাতে মুখে ব্যবহার করুন। মেকআপ তোলা কিংবা বাইরে থেকে ঘুরে আসার পর এই প্রাকৃতিক টোনার ব্যবহার করতে ত্বকে জমা ময়লা খুব সহজেই দূর হয়ে যায়।
৩. বর্ষাকালে সান বার্নের সমস্যাও একটা বড় চিন্তার বিষয়। শুধু গ্রীষ্মকালেই নয়, বর্ষাকালেও সানবার্ন হয়। তাই এই সময়ে ত্বক অনুযায়ী সানস্ক্রিন লোশন আপনাকে বেছে নিতে হবে। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে জেল বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
৪. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে ত্বকে ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ, অ্যাকনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের মরা কোষ দূর করার জন্য কফি, ওটমিল কিংবা গ্রিন টি স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন স্ক্রাবিং করলে নিজেই ফল দেখতে পাবেন।
৫. এ তো গেল ত্বকের পরিচর্যার কথা। চুলের ক্ষেত্রেও সঠিক শ্যাম্পু বেছে নেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।