কলকাতা: অফিসে গিয়ে কাজ করুন আর বাড়ির কাজই করুন না কেন। ওয়ার্ক ফ্রম হোম থাকলেও নিজেকে অফিসের কাজের মতোই তরতাজা রাখা খুবই জরুরি। কাজের চাপে বা মানসিক চাপে আমাদের মুখে একটা ক্লান্তির (Tiredness) ছাপ পড়েই। পাশাপাশি কাজের মাঝে সবসময় নিজের দিকে খেয়াল দেওয়ার সময়ই হয় না বহু মানুষের। এর ফলে ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে ত্বক (Skin) থেকে চুল (Hair)। কিন্তু মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়লে মোটেই তা দেখতে সুন্দর লাগে না। এর মাঝে যদি কোনও কারণে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, সেই সময়ে মুখে ক্লান্তির ছাপ একেবারেই ভালো লাগবে না। তাই ঘরোয়া এমন কিছু উপায় রয়েছে, যাতে নিজে বাড়িতে বসেই মুখে পড়া ক্লান্তির ছাপ দূর করতে পারবেন খুব সহজেই।
মুখ থেকে ক্লান্তির ছাপ দূর করার সহজ উপায়-
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আপনি চাইলে মুখের এই ক্লান্তিভাব দূর করতে পারেন এক মিনিটেই। সামান্য সময়েই মুখের ক্লান্তি দূর করবে ফেসিয়াল মিস্ট। একবার স্প্রে করে নিন। মুহূর্তেই ফিরে পাবেন সতেজতা। তবে কৃত্রিম ফেসিয়াল মিস্ট ব্যবহার করতে না চাইলে ঘরে বানিয়ে নিতে পারেন পছন্দের ফেসিয়াল মিস্ট। কীভাবে বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করবেন ফেসিয়াল মিস্ট, দেখে নেওয়া যাক সহজ পদ্ধতি-
ফেসিয়াল মিস্ট তৈরির পদ্ধতি-
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তিন কাপ জল ফুটিয়ে নিয়ে তাতে অর্ধেক কাপ পুদিনাপাতা দিন। তারপর জল নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার একমুঠো গোলাপের পাপড়ি যোগ করে আরও ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন জলটিকে। জল ফুটে অর্ধেক হলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। সবশেষে ফোটানো জল ছেঁকে স্প্রে বোতলে ঢেলে দিল। আর তাতে অর্ধেক চামচ লেবুর রস ও কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে মুখ বন্ধ করে ঝাঁকিয়ে নিন। ক্লান্ত লাগলেই একবার স্প্রে করে নিন ফেসিয়াল মিস্ট। ত্বক কেমন মুহূর্তে তরতাজা হয়ে ওঠে, নিজেই টের পাবেন।
আরও পড়ুন - Potato: মধুমেহ রোগীরা কি আলু খেতে পারবেন? খেলে কী হবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, দোকান অনেক কোম্পানির এই ফেসিয়াল মিস্ট কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনার ত্বক কেমন, সেই অনুযায়ী এই প্রসাধনী ব্যবহার করা দরকার। নাহলে ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রথমে ডার্মাটোলজিস্টের কাছে গিয়ে নিজের ত্বক পরীক্ষা করিয়ে নিন। এবং তাঁর সঙ্গেই পরামর্শ করে নিতে পারেন যে কোন ধরনের ফেসিয়াল মিস্ট ব্যবহার আপনার ত্বকের জন্য উপকারী।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।