কলকাতা: কোনও সম্পর্কে বিচ্ছেদই (Breakup) কাম্য নয়। বিচ্ছেদ থেকে নিজেকে সামলানোর পরিস্থিতিও সহজ নয়। তবু, বিচ্ছেদ হয়। আবেগের সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনেও ফিরতে হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্রেকআপ হওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা অত্যন্ত কঠিন। একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় এই সময়ে। মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে। প্রভাব পড়ে শারীরিক অবস্থাতেও। ব্রেকআপের পরবর্তী সময়ে রাগ, দুঃখ, অবসাদ, নিজেকে অথবা অন্যকে সারাক্ষণ দোষারোপ করা, উদ্বেগ, স্ট্রেস, প্যানিক অ্যাটাকের মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। কীভাবে এই সময়ে নিজের আবেগকে সামলাবেন? সেই সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্রেকআপের পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবেন কীভাবে?
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্রেকআপের পর সীমাবদ্ধতাগুলির দিকে নজর দিতে হবে। নিজেকে অনেক বেশি সম্মান করতে হবে। একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পর নিজেকে ভালো রাখার জন্য নিজের পছন্দের কোনও কাজে মন দেওয়া দরকার। বই পড়া, গান শোনা, বেড়াতে যাওয়া, রান্না করা এবং আরও যে যে কাজ করতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে, সেগুলো করা দরকার।
২. অনেক সময়ই দেখা যায়, একটা সম্পর্ক ভাঙার পর সেই ব্যথা ভুলতে বহু মানুষ দ্রুত অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমন কাজ একেবারেই করতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, একটা সম্পর্ক ভাঙার পর দ্রুত অন্য কোনও সম্পর্কে না জড়ানোই ভালো। এতে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হয় অনেক বেশি। অন্য সম্পর্কে না জড়িয়ে নিজের লাইফস্টাইলের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কিংবা স্বাস্থ্যকর কোনও স্থানে ভ্রমণ করার মতো বিষয়গুলো বেছে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন - Health Tips: বাড়িতে সুগন্ধী মোমবাতি ব্যবহার করছেন? কী হচ্ছে এর ফলে?
৩. আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে এই সময়ে একেবারেই মদ্যপান কিংবা অত্যধিক ধূমপান করা চলবে না। মানসিক শান্তি বজায় রাখতে প্রাণায়াম, যোগাসন প্রভৃতি বেছে নিতে পারেন। এতে মানসিক স্বাস্থ্যও উন্নত হয়।
৪. ব্রেকআপের পর সাধারণত নানা খারাপ চিন্তা মাথায় আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে একেবারেই নেতিবাচক চিন্তায় ডুব দিলে চলবে না। পরিবর্তে পজেটিভ চিন্তাভাবনা করা দরকার। নিজেকে দোষারোপ করা বা নিজেকে বিচার করার মতো অভ্যাসগুলো থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
৫. সম্পর্ক ভাঙার পরিস্থিতির পর অনেক সময়ই নিজের আবেগ ধরে রাখা যায় না সবসময়। এক্ষেত্রে বন্ধুস্থানীয় বা এমন কোনও প্রিয়জন, যাঁর সঙ্গে সমস্ত কথা বলতে পারেন, তাঁর থেকে সাহায্য চাইতে পারেন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে পারেন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।