কলকাতা: অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য যেখানে বহু মানুষ শরীরচর্চা (Exercise) থেকে ডায়েট (Diet) মেনে খাবার খাচ্ছেন, সেখানে বহু মানুষই ওজন বাড়াতে চাইছেন। ওজন কমানোর মতো ওজন বাড়ানোর (Weight Gain) জন্যও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। তাহলেই ঘরোয়া এবং সহজ পদ্ধতিতেই বাড়বে আপনার ওজন। তবে, এর জন্য স্বাস্থ্যের ক্ষতি করলে চলবে না। ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখা দরকার। যাতে এর ফাঁকে কোনও অসুখ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে না পারে।


না খুব রোগা। না খুব মোটা।  স্বাভাবিক চেহারাই সুস্থতার লক্ষণ। কারও চেহারা যদি খুব রোগা হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেশি রয়েছে। তাই বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন থাকাটাই সুস্থ স্বাভাবিক শরীরের লক্ষণ। কিছু আয়ুর্বেদিক উপায় মেনে চললে ওজন বাড়বে স্বাভাবিক উপায়েই।


আরও পড়ুন - Kitchen Tips: ফ্রিজে কীভাবে শাক-সব্জি রাখলে তা দীর্ঘদিন টাটকা থাকবে?


১. স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ওজন বাড়ানোর জন্য দুধ খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতিদিন খাবারের তালিকায় অবশ্যই দুধ রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও তার মধ্যে সামান্য অশ্বগন্ধা গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে তা ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।


২. ওজন বৃদ্ধির জন্য দারুণ উপকারী খাবার দই এবং কলা। অনেকেরই দুধের সঙ্গে কলা খেতে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা সকালে দইয়ের সঙ্গে কলা মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।


৩. দুগ্ধজাত সমস্ত খাবারই ওজন বৃদ্ধির সহায়ক। রোজকার তালিকায় তাই দুধ, দই, বাটারমিল্ক এবং এর পাশাপাশি সোয়াবিনও রাখুন।


৪. খেজুরের উপকারিতা অনেক। ওজন বৃদ্ধির জন্যও দারুণ সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত পাঁচটা করে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। দুধে ভিজিয়েও খেজুর খেতে পারেন। তাতে দ্রুত ওজন বাড়বে।


৫. ওজন বাড়াতে রোজকার খাবারের তালিকায় ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখার কথা বলছেন পুষ্টিবিদরা। এর জন্য ভাত, আলু, মিষ্টি আলু, পনির, চকোলেট, গুড়, কলা, আম, সবেদা, লিচু, খেজুর  প্রভৃতি রাখুন। এছাড়াও মধু, বাড়িতে তৈরি ঘি, মাখন নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখা প্রয়োজন।


আরও পড়ুন - Diabetes Control Tips: উৎসবের মরশুমে মধুমেহ রোগীরা কীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখবেন?


৬. ওজন বাড়বে কিন্তু স্বাস্থ্যকর উপায়ে। তাই যতটা সম্ভব বেশি বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। লাঞ্চ কিংবা ডিনারের মাঝের সময়টায় বাড়িতে তৈরি লাড্ডু, মিল্কশেক, ছোলা সেদ্ধ, পনিরের স্যান্ডউইচ, সাবুদানার ক্ষীর প্রভৃতি খেতে পারেন।


৭. ওজন বাড়ানোর সময়ে একসঙ্গে অনেক খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। একসঙ্গে অনেকটা খাবার খাওয়ার পরিবর্তে অল্প অল্প করে খাবার বেশিবার খেতে থাকুন। তাতে আগে খাওয়া খাবার হজমও হবে সঠিকভাবে।


৮. ওজন কমানোর মতো ওজন বাড়ানোর সময়েও নিয়মিত শরীরচর্চা করা খুবই দরকার। শরীরচর্চার পর ডিম সেদ্ধ বা সেদ্ধ করা চিকেন খেতে পারেন।


৯. এই সময়ে ফাস্ট ফুড যত কম খাওয়া যায় তত স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। জাঙ্ক ফুড বা ফাস্ট ফুড স্বাস্ত্যের জন্য় ক্ষতিকর।


১০. সবশেষে মাথায় রাখা দরকার, ওজন কমানোর মতো ওজন বাড়াতে গেলেও কিছুটা সময় লাগে। এর জন্য় ধৈর্য্য রাখা প্রয়োজন। নিয়মিত ডায়েট মেনে খাবার খাওয়া এবং শরীরচর্চা যেমন ওজন বাড়াবে তেমন শরীরকেও সুস্থ রাখবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।