কলকাতা: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন পরই আসতে চলেছে বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2021)। উৎসবের দিনগুলোয় চুটিয়ে আনন্দ করার পাশাপাশি নিজের শরীরের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। মধুমেহ (Diabetes) রোগীরা এই সময়ে নানা সমস্যায় পড়েন। একদিকে পুজোর সময় চারপাশে নানারকম লোভনীয় খাবার-দাবারের ছড়াছড়ি। অন্যদিকে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার চিন্তা। ফলে কিছুতেই আর মন খুলে উৎসবে মেতে ওঠা হয় না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু পদ্ধতি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো উৎসবের দিনগুলোয় আনন্দও করা হবে আর সুগারের মাত্রাও বাড়বে না।
আরও পড়ুন - Tea Drinking Facts: ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে চা খাচ্ছেন? জানেন কী হতে পারে?
১. পুজোর দিনগুলোয় যদি বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আগে একটা প্ল্য়ান করে নিন। খাবার অর্ডার দেওয়ার সময়ে যে সমস্ত খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে, তেমন খাবার অর্ডার করুন। স্ন্যাক্স হিসেবে সব্জির কিছু পদ বেছে নিতে পারেন। তবে, তার সঙ্গে সস একেবারেই চলবে না। কারণ, পুষ্টিবিদদের মতে, সসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। যা মধুমেহ রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
২. অনেক মধুমেহ রোগীদের অভ্য়াস থাকে কোনও পার্টিতে যাওয়ার আগে সকাল, দুপুর কিংবা রাতের খাবার বাতিল করার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মিল বাতিল করার ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন - Heart Attack Prevention: জীবনযাত্রায় যে সহজ পরিবর্তনগুলো করলেই কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি
৩. কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন খাবার আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে। কিন্তু তা আবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। তাই মধুমেহ রোগীরা খাবার বাছার সময় কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন খাবারের পরিবর্তে ফাইবার সম্পন্ন খাবার বেছে নিতে পারেন। যেমন, ওটস কিংবা শশা।
৪. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন কম ঘুম রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই উৎসবের দিনগুলোয় যত খুশি আনন্দে মেতে থাকলেও মধুমেহ রোগীরা সঠিক নিয়ম মেনে ঘুমিয়ে নিতে ভুলবেন না। মধুমেহ রোগীদের জন্য অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি। তবেই রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক থাকবে।
৫. প্রচুর পরিমাণে জল খেতে ভুলবেন না মধুমেহ রোগীরা। প্রচুর পরিমাণে জল খেলে শরীরে জলীয়ভাব বজায় থাকে। এবং রক্তে জমা অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।