সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। অনেকেই নিয়মিত জিম করেন। কেউ বা বাড়িতেই যোগাসন অভ্যাস করে থাকেন। তবে এই যোগাসন করার সময় বেশ কিছু ব্যাপারে নজর রাখা প্রয়োজন। সামান্য অসতর্ক হলে বা অসাবধান থাকলেও যোগাসন করার সময় চোট-আঘাত পেতে পারেন আপনি। তাই সুস্থ থাকতে অবশ্যই রোজ বাড়িতে যোগাসন অভ্যাস করুন। কিন্তু সেই সময়ে বেশ কিছু দিকে খেয়াল রাখা ভীষণভাবে প্রয়োজন। তাই একনজরে দেখে নিন যোগাসন করার সময় কোন কোন দিকে নজর রাখবেন।
১। বাড়িতে যে জায়গা বেশ খানিকটা ফাঁকা অর্থাৎ অনেকটা জায়গা আছে, যেখানে হাত-পা ছড়ানো সম্ভব, চোট-আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেখানেই যোগাসন অভ্যাস করা প্রয়োজন। অবশ্যই এই জায়গা খোলামেলা হওয়া দরকার। অর্থাৎ হাওয়া, বাতাস খেলে এরকম একটা জায়গায় যোগাসন অভ্যাস করুন।
২। যোগাসন করার সময় যোগা ম্যাট্রেস ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে ম্যাটের গুণমান দেখে নেওয়া প্রয়োজন। যে ম্যাট্রেসের উপর যোগাসন করে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন সেখানে যোগাসন অভ্যাস করুন। কখনই বিছানার উপরে বসে বা সরাসরি মেঝেতে বসে যোগাসন অভ্যাস করবেন না। এতে চোট, আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। যাঁরা প্রথম প্রথম যোগাসন অভ্যাস করছেন, তাঁরা কখনই শুরুতে জটিল যোগাসন অভ্যাস করতে যাবেন না। এর ফলে আপনি বেকায়দায় চোট পেতে পারেন। তাই শুরুর দিকে সহজ ধরনের যোগাসন অভ্যাস করুন। ধাপে ধাপে জটিল যোগাসন অভ্যাস করা শুরু করতে হবে।
৪। একটানা অনেকক্ষণ যোগাসন অভ্যাস করা কখনই ভাল নয়। মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন। দুটো যোগাসন অভ্যাসের মাঝে শবাসন করে নিন। এক নাগাড়ে দীর্ঘক্ষণ যোগাসন অভ্যাস করলে ধরীরে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
৫। নিজের শারীরিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কোনও কিছুই করা ভাল নয়। যোগাসনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। শারীরিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে যোগাসন করবেন না। এতে চোট, আঘাত পাওয়ার পাশাপাশি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। অন্যান্য অনেক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৬। যোগাসন করার আগে একেবারে খালি পেটে থাকা উচিত নয়। তাই বলে ভরাপেটে যোগাসন করবেন না। হাল্কা কিছু খেয়ে নিন। এর পাশাপাশি যোগাসন করার ফাঁকে মাঝে মাঝে অল্প করে জল খাওয়াও প্রয়োজন। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সমস্যা যাঁদের রয়েছে সঙ্গে অবশ্যই তোয়ালে রাখুন ঘাম মুছে নেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন- শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কেন খাবেন বাটারমিল্ক? কী কী উপকারিতা রয়েছে এই পানীয়র