কলকাতা: ব্যবহার, চিন্তা ভাবনা, অনুভব, এসবই ব্যক্তির নিজের নিজের উপর নির্ভর করে। প্রতিটা মানুষের ব্যবহার, চিন্তাধারা এবং অনুভূতি আলাদা আলাদা হয়। তেমনই প্রতিটা মানুষের ব্যবহারের উপরই নির্ভর করে তাঁর ব্যক্তিত্ব। যা প্রতিটা মানুষেরই আলাদা আলাদা থাকে। কারও বলিষ্ঠ ব্যক্তি তো কারও নমনীয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্যক্তিত্বের (Personality) তফাতের কারণেই এক এক জন মানুষের গ্রহণযোগ্যতা এক এক রকমের হয়। জীবনে সফল হওয়ার পিছনেও এই ব্যক্তিত্বই লুকিয়ে রয়েছে। আপনিও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে পারেন। তার জন্য মেনে চলতে হবে সহজ কয়েকটা টিপস।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্যক্তিত্ব উন্নত করার জন্য প্রথমেই একজন ভালো শ্রোতা হওয়া খুবই জরুরি। কথা বলার সময় আগে অন্যের কথা ভালো করে শুনুন। তিনি কী বলতে চাইছেন, সেটা ভালো করে বুঝুন। তারপর সেই অনুযায়ী বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর দিন। যখন কারও সঙ্গে কথা বলছেন, তখন তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। চোখের সঙ্গে চোখ রাখতে পারাও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের লক্ষণ।


২. প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস জানার চেষ্টা করুন। জানার কোনও শেষ নেই। জ্ঞানের ভান্ডার যত ভর্তি হবে, আপনি ততই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবেন। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য জানাটা খুবই জরুরি। যাতে কোনও মানুষের সঙ্গে থাকার সময় তাঁর আপনাকে বোরিং বলে মনে না হয়।


আরও পড়ুন - Holi 2022: হোলি খেলার পর নখ থেকে জেদি রং উঠছে না? জানুন সহজ পদ্ধতি


৩. ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বৃদ্ধি করুন। 'আমি পারব' এই মত নিয়ে চলুন। দেখবেন, যেকোনও কাজে সাফল্য আসবেই আসবে।


৪. এক বিখ্যাত দার্শনিক বলেছেন, 'কাউকে অযথা বিচার করতে যেও না। তুমি তাতে খুশি থাকবে। ক্ষমা করতে শেখো। তাতে তুমি সুখী থাকবে। আর সবাইকে সমস্ত কিছুকে ভালোবাসো। তুমি সুখের শীর্ষে থাকবে।' বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাউকে বিচার করার আগে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো, তুমি কি তাঁকে বিচার করার জন্য তাঁর সম্পর্কে সঠিকভাবে সমস্তকিছু জানো? উত্তর নিজেই পেয়ে যাবেন।


৫. ব্যক্তিত্ব উন্নত করার জন্য নানা মহলের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করাটা খুবই জরুরি। প্রতিদিন যখন কোনও না কোনও নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, তখন অনেক নতুন কিছু জানা যায়। বিশেষ করে একটি নতুন মানুষকে চিনতে শুরু করা যায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলাকালীন জ্ঞানের বিনিময়, চিন্তার বিনিময় হতে থাকলে স্বভাবিকভাবেই ব্যক্তিত্ব উন্নত হয়।


৬. ব্যক্তিত্ব উন্নত করার জন্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কথা বলাটা খুবই জরুরি। যদি বহু মানুষ আপনার বলা কথার সঙ্গে কমিউনিকেট করতে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে তাঁদের আপনার কথার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তবে, কথা বলার সময় এটাও মাথায় রাখতে হবে কোন কথা কখন বলা উচিত এবং কখন থেমে যাওয়া উচিত।


৭. সেন্স অফ হিউমর ভালো হওয়া খুবই জরুরি।


৮. অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতা থাকা দরকার।