কলকাতা : ওরাল হাইজিন । রোজ মুখ পরিষ্কার যতটা প্রয়োজন, ততটাই দরকার , মুখের ভিতর পরিষ্কার রাখা এবং দাঁত উজ্জ্বল রাখাই যথেষ্ট। ওরাল হাইজিন বলতে যেমন দাঁত মাজাকেও বোঝায়, তেমনই  দাঁত পরিষ্কার রাখাও ভীষণ জরুরি। সেই সঙ্গে মাস্ট জিহ্বা পরিষ্কার রাখা।


জিভ পরিষ্কার না করার কারণে শুধু মুখ থেকে দুর্গন্ধই আসে না, অনেক রোগের কারণও হতে পারে। জিভ  ঠিকমতো পরিষ্কার  না করলে , তখন অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আমাদের পেটে যায় যা আমাদের অসুস্থ করে তোলে।


জেনে নিন কীভাবে আপনি আপনার জিহ্বা ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে পরিষ্কার রাখবেন এবং দিনে কতবার পরিষ্কার রাখতে হবে। 


টুথব্রাশ


আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে বাজারে এখন অনেক টুথব্রাশ আসছে, যেগুলোর পেছনে জিভ পরিষ্কার করার জন্য একটি  ক্লিনার থাকে। জিভ পরিষ্কার করতে, জিভের পেছন থেকে সামনের দিকে ব্রাশ আনুন। এভাবে পরপর তিন থেকে চারবার করার পর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।


জিভ স্ক্র্যাপার


স্ক্র্যাপার দিয়ে পরিষ্কার করা জিহ্বা পরিষ্কার করার সর্বোত্তম উপায়। জিহ্বার পিছনে স্ক্র্যাপার রাখুন এবং ধীরে ধীরে এটি সামনে টানুন। স্ক্র্যাপারের প্রস্থ বেশি যার কারণে এটি পুরো জিহ্বা পরিষ্কার করে।


নুন

আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার জিহ্বা পরিষ্কার করতে চান, তবে আপনি  নুন-জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন।  বা জিভে সামান্য লবণ লাগিয়ে স্ক্রাব করতে পারেন।


হলুদ


হলুদ দিয়েও জিভ পরিষ্কার করতে পারেন। ব্রাশে হলুদের গুঁড়া ছিটিয়ে হালকা হাতে ঘষে নিন। এর পর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করুন।


পরিষ্কার করার পর কী করবেন 


স্ক্রাব, হলুদ, টুথব্রাশ ইত্যাদি দিয়ে জিভ পরিষ্কার করার পর একবার আয়নায় তাকান। যদি জিভ গোলাপী বা পরিষ্কার দেখায় তার মানে জিভ সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু, জিভে হলুদ বা সাদা রঙ দেখা গেলে তা আবার পরিষ্কার করতে হবে।


দিনে কতবার জিভ পরিষ্কার করবেন?


আপনি যদি ব্যাকটেরিয়া এবং প্লাক দূরে রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই দিনে অন্তত ২ বার জিভ পরিষ্কার করুন। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো দাঁত ব্রাশ করার পর জিভ পরিষ্কার করা। ঘুমানোর আগে  পরিষ্কার করলে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর আশঙ্কা থাকবে না এবং আপনি সুস্থও থাকবেন।