UP Women Give Husband Electric Shock: সারাদিন ধরেই ফোনে খুঁটখুঁট করে যাচ্ছে স্ত্রী। অতিরিক্ত সময় খরচ করছে ওই ছোট্ট চারকোনা যন্ত্রের পিছনে। রোজ একই জিনিস দেখতে দেখতে একটা সময় বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। তাই স্ত্রীর কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে রেখে দেন। আর এই দুঃসাহসেরই মাসুল গুণতে হল এবার। চরম প্রতিশোধ নিলেন তাঁর স্ত্রী। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মহিলা তাঁর স্বামীকে প্রথমে মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করে দেন। এর পর বিছানায় বেঁধে ইলেক্ট্রিক শক দেন। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মেইনিপুরির।


ঘটনাটিতে ইতিমধ্যেই পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী,৩৩ বছর বয়সী ওই মহিলা ফোনে তীব্র আসক্ত ছিলেন। যার জেরে তাঁর স্বামী বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। স্ত্রীর এই কুঅভ্যাস শুধরানোর জন্যই ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু সেই দুঃসাহস সহ্য করতে পারেননি তরুণী স্ত্রী। তাই বরকে প্রথমে মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করে দেন। এর পর একটি খাটের সঙ্গে ভাল করে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। এর পর তাঁকে ইলেক্ট্রিক শক দিতে থাকেন ওই মহিলা। মাঝে তাঁদের ১৪ বছর বয়সি ছেলে ছুটে আসে বাবাকে বাঁচাতে। কিন্তু সেও রেহাই পায়নি। মায়ের হাতে বেদম মার খায় সে। আহত স্বামীর নাম প্রদীপ সিং। বর্তমানে তাঁকে সাইফাই মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। 


দিওয়ান সিংয়ের কন্যা বেবি যাদবের সঙ্গে প্রদীপ সিংয়ের বিয়ে হয়েছিল ২০০৭ সালে। তিনি এই দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী রোজ ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলেন। এই ব্যাপারে তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি বেবির পরিবারকেও ব্যাপারটি বলেন। বেবির পরিবারের নির্দেশেই তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেন। তারই চরম পরিনতি ভুগতে হল তাঁকে।


প্রদীপ সিংয়ের বয়ান অনুযায়ী, ফোন কেড়ে নেওয়ার সময়ই স্বামী ও পুত্রকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন বেবি যাদব। গত সপ্তাহে সুযোগ পেতেই তাঁর সদ্ব্যবহার করেন বেবি। প্রদীপের কথায়, প্রথমে মাদক খাইয়ে পরে ব্যাট দিয়ে মাথায় মারা হয় তাঁর। এর পর সারা অঙ্গে বেধড়ক মেরে বিছানায় বেঁধে শুরু হয় শক দেওয়া। মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশ ইতিমধ্যেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে।


আরও পড়ুন - Hearing Issues For Headphone: হাই ভলিউমে হেডফোন ? কানের বড় বিপদ, কোন ভলিউম লেভেল নিরাপদ ?


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।