Hearing Issues For Headphone: সারা পৃথিবী শ্রবণে অক্ষম মানুষের সংখ্যাটা শুনলে অবাক হতে হবে। পরিসংখ্যান বলছে, এই সংখ্যাটা প্রায় ২.৫ বিলিয়ন। অর্থাৎ ২৫০ কোটি। যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ। তবে বধিরতা শুধু যে জন্মগত কারণে হয়, তা কিন্তু নয়। আরও বেশ কিছু কারণ থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হল শব্দদূষণ। শব্দদূষণ সবসময় যে তৃতীয় ব্যক্তি ঘটায়, তা কিন্তু নয়। অনেকসময় নিজেরাই শব্দদূষণ করে নিজেদের ক্ষতি করি। যেমন কানের হেডফোন। হেডফোনের ভলিউম অনেকেই বেশি দিয়ে শোনেন। যার ফলে কানের সমস্যা হতে পারে। ছোটখাট নয়, বড়সড় সমস্যার কারণও হতে পারে হেডফোন। কী কী সেগুলি ? জেনে নেওয়া যাক।


কেন ক্ষতিকর হেডফোনের ভলিউম ?


বিশেষজ্ঞদের কথায়, বেশ কয়েকটি কারণে এটি কানের ক্ষতি করে।



  • কানের খুব কাছে থাকে শব্দের উৎস। এর তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রও কানের খুব কাছে থাকে। যা কানের শ্রবণক্ষমতার জন্য ক্ষতিকর।

  • অনেকেই নির্দিষ্ট সাউন্ডের বেশি সাউন্ড দিয়ে গান শোনান। এই সাউন্ড শ্রবণশক্তির আরও ক্ষতি করে। বর্তমানে প্রায় সব ফোন বা যন্ত্র ১২০ ডেসিবেল সাউন্ড তৈরি করতে পারে। ফলে যারা পুরো সাউন্ড দিয়ে গান শোনেন, তাদের বিপদ আরও বেশি।

  • ১২০ ডেসিবেল সাউন্ড সাধারণত লাইভ কনসার্টের সাউন্ড হয়। অর্থাৎ কান নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য সেটিকে যথেষ্ট বলা যায়।


কতটা আওয়াজ বিপজ্জনক কানের জন্য ?


ডেসিবেল মাপার জন্য আমাদের কাছে কোনও যন্ত্র থাকে না। তাই কতটা আওয়াজ বিপজ্জনক তা বোঝা মুশকিল হয়ে যায়। কিন্তু এই ব্য়াপারে একটি উপায় বাতলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যে আওয়াজে গান শুনলে বাইরের কোনও আওয়াজ শোনা যায় না, সেই আওয়াজটিই ক্ষতিকর বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।


কতক্ষণ ধরে শুনলে কানের ক্ষতি ?


এই ব্যাপারেও একটি ফর্মুলা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ফোনের সাউন্ড সর্বোচ্চ যতটা হয়, তাঁর ৬০ শতাংশে ভলিউম লেভেল রাখতে হবে। এই অবস্থায় দিনে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা গান বা মনমতো জিনিস শোনা যেতে পারে। ফুল সাউন্ডে কিছু শুনতে হলে ৫ মিনিটের বেশি না শোনাই ভাল। তার বেশি শুনলে কানের বিপদ বাড়ে বৈ কমে না।


ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - World No Tobacco Day: খাওয়া নয়, সিগারেট ছাড়ার 'নেশা' বাড়ছে তরুণদের মধ্যে ? কারা দিচ্ছে এই ভাল খবর


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।