কলকাতা : বাস্তুশাস্ত্রে শক্তির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তু অনুসারে, ঘরে রাখা প্রতিটি জিনিসই মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। বাস্তুতে, সবকিছু রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট দিকের কথা বলা হয়েছে। বাস্তুতে গাছ-গাছালি লাগানোরও নির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ভুল দিকে লাগানো গাছ-গাছড়া ঘরে নেতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। এতে বাড়িতে ঝগড়া বাড়ে বলে মনে করা হয়। বাস্তু অনুসারে, কিছু গাছপালা আছে যা বাড়ির দক্ষিণ দিকে লাগানো উচিত নয়, তা না হলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। 


কলা গাছ-


জ্যোতিষশাস্ত্রে কলা গাছকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বৃহস্পতিবার এই গাছের পুজো করলে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বাস্তু অনুসারে, এই গাছটি কখনই দক্ষিণ দিকে লাগানো উচিত নয়। কলাগাছ কখনই পশ্চিম দিকেও লাগানো উচিত নয়। এই দিকে কলা গাছ লাগানো অশুভ বলে মনে করা হয়। দক্ষিণ দিকে কলা গাছ লাগালে নেতিবাচক ফল পাওয়া যায়। কলা গাছ সবসময় উত্তর বা পূর্ব দিকে লাগাতে হবে।


তুলসি গাছ-


হিন্দু ধর্মে তুলসি গাছকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, তুলসিতে দেবী লক্ষ্মী অধিষ্ঠান করেন। প্রতিদিন তুলসির পুজো করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। এই গাছ কখনোই দক্ষিণ দিকে লাগানো উচিত নয়। এই দিকে তুলসি গাছ লাগালে বাড়িতে ঝামেলা বাড়ে এবং আর্থিক সমস্যা হয়। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর দিকে তুলসি গাছ লাগানো শুভ বলে মনে করা হয়। উত্তর দিককে তুলসির জন্য সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। যেখানে পূর্ব দিকে তুলসি লাগালে ঘরে সূর্যের মতো শক্তি আসে।


মানি প্ল্যান্ট-


মানি প্ল্যান্ট বাড়ির জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়। বেশির ভাগ বাড়িতেই মানি প্ল্যান্ট দেখা যায়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে মানি প্ল্যান্ট রাখলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। যে বাড়িতে মানি প্ল্যান্ট থাকে সেখানে সমৃদ্ধি থাকে। বাস্তু অনুসারে, দক্ষিণ দিকে কখনই মানি প্ল্যান্ট লাগানো উচিত নয়, তা না হলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সংকটে পড়তে হতে পারে। মানি প্ল্যান্ট সবসময় দক্ষিণ-পূর্ব দিকে লাগাতে হবে। এই দিকে মানি প্ল্যান্ট লাগালে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।


ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।