Dead Frog Found In Chips: আইসক্রিমের মধ্যে কাটা আঙুল পাওয়া গিয়েছিল কিছু দিন আগে। এবার চিপসের প্যাকেটে পাওয়া গেল মরা ব্যাঙ। প্রথম ঘটনার ঘটনাস্থল ছিল মুম্বই। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটে। গুজরাটের জামনগরের এক বাসিন্দা সম্প্রতি দাবি করেন, চিপসের প্যাকেটে তিনি একটি মরা ব্যাঙ পেয়েছেন। ঘটনাটি ১৯ জুন বুধবারই ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আপাতত এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে একটি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।


কী পদক্ষেপ প্রশাসনের ?


সংবাদমাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন জামনগর পৌরসভার এক আধিকারিক। তার কথায়, ওই নির্দিষ্ট চিপসের প্যাকেটের পুরো ব্যাচটিকে পরীক্ষা করে দেখা হবে। তার পর এই বিষয়ে পরবর্তী তথ্য জানানাো হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। 


খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিকের কথায়…


এই প্রসঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক ডি বি পারমার সংবাদমাধ্যম পিটিআই-কে জানান, জাসমিন প্যাটেল নামক ওই জনৈক মহিলার কাছ থেকে এই বিষয়ে তারা অভিযোগ পেয়েছেন। বালাজি ওয়েফার্সের ক্রানচেক্সে ওই মরা ব্য়াঙটি পাওয়া যায়। যেই দোকানে এই চিপসটি তৈরি হয়, সেখানে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে খাদ্যসুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা যান। প্রাথমিকভাবে চিপস উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সত্যিই চিপসের মধ্যে একটি মরা ব্যাঙ মৃত অবস্থায় ছিল। তাঁর কথায়, ওই বিষয়ে জানাজানি হওয়ার পরেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ওই নির্দিষ্ট চিপসটির পুরো ব্যাচটিকে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়।


ছোট্ট একরত্তির অসুস্থতার আশঙ্কা


জাসমিন প্যাটেল জানিয়েছেন ১৮ জুন তার নাবালিকা ভাইজি আবাসনের নিচের একটি দোকান থেকে চিপস কিনে আনেন। এর পর সেই চিপস খেতে গিয়েই তার মধ্যে মরা ব্যাঙটি পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, চার বছর বয়সি মেয়েটির সঙ্গে ওই চিপসটি নয় মাসের একটি বাচ্চাও খাচ্ছিল। পরে চার বছরের মেয়েটি তার মধ্যে একটি মরা ব্যাঙ রয়েছে তা লক্ষ করে।


সংস্থার কী বক্তব্য ?


জ্যাসমিন প্যাটেলের কথায়, ওই ঘটনার পর তিনি সঙ্গে সঙ্গে বালাজি ওয়েফারের কাস্টমার সার্ভিসে ফোন করেন।কিন্তু সেখান থেকে কোনও সন্তোষজনক উত্তর পাননি জ্যাসমিন। এর পরেই তিনি  খাদ্যসুরক্ষার অফিসে ফোন করেন পুরো ঘটনাটি জানান।


আরও পড়ুন - Viral News: আইসক্রিমে পাওয়া গিয়েছিল আঙুল, জানা গেল আঙুলের মালিক কে


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।