Vitamin E Rich Foods: চুলের স্বাস্থ্য (Hair Care) ভাল রাখতে হলে ভিটামিন ই- (Vitamin E) এর প্রয়োজন। যাঁদের চুল লম্বায় খুব বেশি বাড়তে চায় না তাঁরা খেতে পারেন ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই পাঁচটি খাবার। সেগুলো কী কী? রইল তালিকা। ভিটামিন ই এমন একটি উপকরণ যা চুলের একাধিক সমস্যা দূর করতে কাজে লাগে। চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ভিটামিন ই। এর পাশাপাশি কমায় চুল পড়ার সময়। চুলের গঠন বা টেক্সচার ভাল করে। বিভিন্ন ভাবে চুলকে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। শরীরে ভিটামিন ই- এর ঘাটতি রুখতে চাইলে আপনার ডায়েটে যোগ করতে পারেন এই ৫টি খাবার। এই তালিকায় কী কী রয়েছে দেখে নেওয়া যাক।


পিনাটস বা চিনাবাদাম- পিনাট বা চিনাবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। তাই এই বাদাম খেলে চুল বৃদ্ধি পাবে লম্বায়। অর্থাৎ চুল বাড়বে। এর পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাও কমাতে পারে এই চিনাবাদাম।


অ্যাভোকাডো- অ্যাভোকাডোর মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। বায়োটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই রয়েছে অ্যাভোকাডোর মধ্যে যা চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডর মধ্যে থাকা এই সমস্ত উপকরণ চুলের গোড়া শক্ত এবং মজবুত করে। চুল পড়ার সমস্যা কমায়। চুলে আর্দ্রভাবে বজায় রাখে। আপনার চুলকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।


সূর্যমূখী ফুলের বীজ- সানফ্লাওয়ার সিডস অর্থাৎ সূর্যমূখী ফুলের বীজের মধ্যেও রয়েছে ভিটামিন ই। আর এই উপকরণ চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও চুলের আরও অনেক সমস্যা দূর করতে কাজে লাগে এই সূর্যমূখী ফুলের বীজ। সানফ্লাওয়ার সিডস বায়োটিনের একটি ন্যাচারাল রিসোর্স। চুলের গোড়া শক্ত করে এই উপকরণ। এছাড়াও চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যাওয়া বা ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার সমস্যা কমায়। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।


পালং শাক- পালং শাকের মধ্যেও রয়েছে ভরপুর ভিটামিন ই যা চুলের পক্ষে ভাল। এর মধ্যে রয়েছে ফোলেট, আয়রন, ভিটামিন সি- এইসব প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণও। পালং শাকের মধ্যে থাকা উল্লখিত উপকরণগুলির সবকটিই চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। চুলের বৃদ্ধি, নতুন চুল গজানো, চুল পড়ার সমস্যা কমানো- এইসব কাজে লাগে পালং শাক।

 

আমন্ড- আমন্ডের মধ্যেও রয়েছে ভিটামিন ই। অনেকেই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জলে ভেজানো দুটো আমন্ড খেয়ে থাকেন। যেদিন খাবেন তার আগের দিন রাতে এই বাদাম ভিজিয়ে রাখা। চুলের একাধিক সমস্যা অল্প সময়েই দূর করে আমন্ড। ভিটামিন ই ছাড়াও আমন্ডের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড। এই দুই উপকরণও চুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে এবগ চুল পড়ার সমস্যা রুখতে সাহায্য করে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। 


আরও পড়ুন- ওজন কমাতে মেনুতে রাখুন বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন সমৃদ্ধ ডাল, কী কী উপকরণ রাখতে পারেন ডায়েটে?