কলকাতা: ভিটামিন এ থেকে ই পর্যন্ত সবকটি ভিটামিনের সঙ্গেই আমরা পরিচিত। কিন্তু তুলনায় কম বিখ্যাত ভিটামিন হল ভিটামিন কে। এই ভিটামিনের নাম কম শোনা গেলেও গুরুত্ব মোটেই কম নয়। ভিটামিন কে আদতে ভিটামিন কে-এর মতো দেখতে কিছু ভিটামিন নিয়ে তৈরি একটি গঠন। ভিটামিন কে গ্রুপের মধ্য়ে রয়েছে ভিটামিন কে১ (ফাইলোকুইনোন) ও ভিটামিন কে২ (মেলাকুইনোন)। ফাইলোকুইনোন গাছের মধ্যে পাওয়া যায়। অন্যদিকে মেলাকুইনোন বিভিন্ন প্রাণীজ খাবারে ও ফর্টিফায়েড খাবারে পাওয়া যায়।
কেন ভিটামিন কে শরীরের জন্য় জরুরি ?
হার্টের জন্য জরুরি - রক্তনালিতে ক্যালসিয়াম জমতে থাকলে হার্টের রোগের আশঙ্কা বাড়ে। এই ক্যালসিয়াম জমার প্রক্রিয়াকে আটকে দেয় কিছু নির্দিষ্ট প্রোটিন। সেই প্রোটিনগুলিকে সক্রিয় করে তোলে ভিটামিন কে। যার ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
ডিমেনশিয়া ঠেকাতে পারে - বেশি বয়সে অনেকের ডিমেনশিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন কে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা বেশ কিছুটা কমে যায়।
রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে - ডায়াবেটিসে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা বিশেষভাবে জরুরি। সুগার থাকলে ইনসুলিন ক্ষরণ কমে যায়। অস্টিয়োক্যালসিন ইনসুলিন ক্ষরণে সাহায্য করে। এই যৌগটিকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। তাই ভিটামিন কে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে পেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাড়ের জন্য উপকারী ভিটামিন - হাড়ের জন্য উপকারী ভিটামিন হিসেবে ভিটামিন ডি-এর কথাই বেশি শোনা যায়। কিন্তু এর বাইরেও ভিটামিন কে হাড়ের জন্য জরুরি। হাড়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে কিছু নির্দিষ্ট প্রোটিন জরুরি। সেই প্রোটিনগুলি আবার নির্ভর করে ভিটামিন কে-এর উপর।
স্নায়ু রোগের বিরুদ্ধে সুরাহা - স্নায়ুকোশকে সুস্থ ও চাঙ্গা রাখে ভিটামিন কে। ডিমেনশিয়া ছাড়াও এমন বেশ কিছু স্নায়ুর সমস্যা রয়েছে যার কোনও চিকিৎসা নেই। সেই রোগগুলি প্রতিরোধ করতে পারে ভিটামিন কে।
কোন কোন খাবারে ভিটামিন কে পাবেন ?
ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবারগুলি হল –
- ব্রকলি
- পালং শাক
- সোয়াবিন
- চিকেন ব্রেস্ট
- এছাড়াও, সামান্য় পরিমাণে ডিম ও মাংসের মেটেতে ভিটামিন কে পাওয়া যায়।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Health Tips: ইচ্ছেমতো মাল্টিভিটামিন খাওয়া ভাল না খারাপ ? কী হতে পারে ?