একের পর এক রোগের আতঙ্ক করছে গ্রাস। কখনও হার্টের অসুখ। কখনও মস্তিষ্কের। কখনও মনের অসুখ তো কখনও বার স্নায়ুর। কম বয়সেই এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এখন বহু ভারতীয়। সারা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে কম বয়সে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। কীভাবে এই সব ঝুঁকি কাটিয়ে ওঠা যায়, ভেবে কুল পাচ্ছেন না কেউ। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে দ্য ল্যানসেট পাবলিক হেলথ-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় পাওয়া তথ্য। সেখানে একদম এক সহজ সরল উপায় বাতলেছেন গবেষকরা। যা এক ঝটকায় কমিয়ে দিতে পারে কার্ডিওভাসকুলার ডিসিজ, হার্টের অসুখ থেকে ডিমেনশিয়া বা ডিপ্রেশনের আশঙ্কা।
গবেষণায় দাবি, প্রতিদিন ৭,০০০ পা করে হাঁটলে, নানা রোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৭ শতাংশ কমিয়ে ফেলা যায়। প্রতিদিন ৭,০০০ কদম হাঁটায় ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা কমে যেতে পারে ৩৮ শতাংশ। এছাড়া ২২ শতাংশ কমতে পারে অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। গবেষকরা বলেছেন, ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকাশিত ৮৮টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষণায় রাডারে রাখা হয় ১.৬ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর পরীক্ষিত তথ্য। বিরাট মাপের ডেটার উপর কাজ করা হয়েছে এই গবেষণায়। বলা হয়েছে প্রতিদিন হাঁটলেই অসংখ্য স্বাস্থ্য সমস্যা দূরে রাখা সম্ভব। আগেও এই ধরনের গবেষণা হয়েছিল। তবে তা ছি মূলত হৃদরোগ কেন্দ্রিক। হাঁটা কীভাবে হার্টের অসুখে মৃত্যুর আশঙ্কা কমায়, তা উপরই কাজ করেছিলেন গবেষকরা। তবে এবার অনেকগুলি রোগের প্রবণতা কমাতে হাঁটা কতটা কার্যকর হতে পারে, তার উপর গবেষণা করেছেন চিকিৎসক ও গবেষক দল। এই গবেষণা দলে ছিলেন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, স্পেন এবং নরওয়ের গবেষকরা।
প্রতিদিন ৭,০০০ কদম হাঁটার ফলে সামান্য হলেও কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। রোজ ৭ হাজার স্টেপ হাঁটলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যেতে পারে ২৫ শতাংশ। এছাড়া ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী হাঁটা । রোজ এতটা হাঁটলে ডিমেনশিয়ার মতো কঠিন সংস্যাও আটকানো যেতে পারে ৩৮ শতাংশ। এছাড়া ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটার মতো ভাল উপায় আর কী হতে পারে।
ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে, রোজ ৭,০০০ পা হাঁটলে মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে ৪৭ শতাংশ। হৃদরোগের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কমতে পারে। ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬ শতাংশ কমতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ কমতে পারে। ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৩৮ শতাংশ কমে যেতে পারে। এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যও রক্ষা হতে পারে।