Healthy Snacks: ওজন কমাতে ডায়েট করা মানে কিন্তু না খেয়ে থাকা নয়। বরং অল্প অল্প পরিমাণে বারে বারে খেতে হবে। আর স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ডায়েটের নামে উপোস করে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে ওজন তো কমবেই না, উল্টে বাড়বে। সেই সঙ্গে দেখা দেবে গ্যাসের সমস্যাও। ওজন কমাতে যাঁরা নিয়মিত ডায়েট করে থাকেন এবং কাজের সূত্রে হোক বা যে কোনও কারণেই হোক যাঁদের রোজ বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়, তাঁদের উচিৎ সঙ্গে হাল্কা কিছু হেলদি স্ন্যাক্স রাখা। এইসব খাবারে ক্যালোরি, ফ্যাট থাকবে না বা খুব অল্প থাকবে। স্বাদে মুখরোচক, পেট ভরাবে আবার ওজনও বাড়াবে না।
হেলদি স্ন্যাক্স হিসেবে কোন কোন খাবার ব্যাগে রাখতে পারলে ভাল, দেখে নিন
ওজন কমাতে যাঁরা নিয়মিত কড়া ডায়েটে থাকেন বিশেষজ্ঞরা তাঁদের পরামর্শ দেন বারে বারে অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার। যাঁদের কর্মসূত্রে রোজ বাড়ির বাইরে বেরোতে হয় তাঁরা সঙ্গে রাখতে পারেন কিছু হেলদি স্ন্যাক্স। এগুলি খেতে সুস্বাদু, মুখরোচক। অথচ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে। ওয়েট লস জার্নি অর্থাৎ ওজন কমানোর পুরো পদ্ধতিতে কোন কোন খাবার আপনি মুখরোচক এবং স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন, রইল তার তালিকা।
- একটু ভারী খাবার খেতে চাইলে চিঁড়ের পোলাও। কিংবা খেতে পারেন নোনতা সুজি। এগুলি কম তেলে রান্না করা সম্ভব। আর এইসব রান্নায় দেওয়া যায় অনেক সবজি, ড্রাই ফ্রুটস যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
- হেলদি স্ন্যাক্স হিসেবে হাল্কা খিদেয় আপনি খেতে পারেন পপকর্ন। এই খাবার খেতে সুস্বাদু। অথচ ওজন বাড়াবে না। কিন্তু পেট ভরাবে। মাখানাও রাখতে পারেন সঙ্গে।
- খরোচক স্ন্যাক্স হিসেবে আপনি খেতে পারেন মাখানাও। এই খাবারও পেট ভরাবে। ক্যালোরি কম। পুষ্টি বেশি। ওজন রাখবে নিয়ন্ত্রণে।
- ওজন কমাতে চাইলে দিনে একবার অন্তত ফলাহার করা জরুরি। নানা ধরনের ফল দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন সুস্বাদু ফ্রুট স্যালাড। স্বাদ বাড়ানোর জন্য ছড়িয়ে দিতে পারেন অল্প গোলমরিচের গুঁড়ো এবং বিটনুন।
- ওজন কমাতে হেলদি স্ন্যাক্স হিসেবে ছোলা খেতে পারেন আপনি। ছোলা সেদ্ধ মাখা হোক কিংবা শুকনো কড়াইতে ছোলা ভাজা, দুটোই মুখরোচক খাবার। ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে শসা। তাই আপনি শসা রাখতে পারেন হেলদি খাবার হিসেবে। ওজন কমাতে চাইলে তেলমশলা এবং ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলুন। তাহলেই দ্রুত মেদ ঝরবে আপনার।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।