Weight Loss Journey: ওজন কমানো সত্যিই পরিশ্রমসাধ্য কাজ। যত সহজ ওজন বৃদ্ধি পায়, তা কমানো ঠিক ততটাই কঠিন। প্রতিদিনের জীবনশৈলীতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে এবং নিয়মিত সেই জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হলে তবেই কমবে ওজন, ঝরবে অতিরিক্ত মেদ। অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর জন্য অনেকে খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দেন, কেউ বা মন দেন শরীরচর্চায়। কিন্তু এইসবের মাঝে হয়তো অজান্তেই কিছু ভুল আমরা করে ফেলি। আর তার ফলে ওজন কমার পরিবর্তে দেখা দেয় আনুষঙ্গিক সমস্যা। তাই যাঁরা ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত নানা ধরনের কসরত করছেন তাঁরা কী কী ভুল একেবারেই করবেন না, চলুন দেখে নেওয়া যাক তালিকা। 


শরীরচর্চার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা রাখুন বাস্তবসম্মত


ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। কিন্তু অস্বাভাবিক কোনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করবেন না। প্রথমে অল্প সময় ধরে শরীরচর্চা করুন। তুলনায় সহজ ধরনের ওয়ার্ক আউট করুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতা বাড়ান। নিজের শারীরিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কখনই শারীরিক কসরত অভ্যাস করতে যাবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শরীরচর্চা করার সময় যাতে চোট-আঘাত না লাগে সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।


অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন


ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চিনি যেমন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনই ভূমিকা রয়েছে নুনেরও। তাই মেদ ঝরানোর জন্য শুধু চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমালেই হবে না, একই সঙ্গে কমাতে হবে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস। খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি থাকলে কিংবা খাবারের পাতে অতিরিক্ত কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে শরীরে জলের পরিমাণ বাড়তে পারে। আর এর ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।


হয় ডায়েট করুন, নাহলে শরীরচর্চা, সব একসঙ্গে নয়




ওজন কমানোর জন্য যেকোনও একটা পথ বেছে নিন। হয় ডায়েট করুন। সেক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিলেই হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। সময়ে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। যেসব খাবারে ওজন বাড়তে পারে সেগুলি এড়িয়ে চলুন। আর যদি ডায়েটিং করতে না চান, তাহলে মন দিন শরীরচর্চায়। যোগাসন হোক কিংবা জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট, অথবা বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড একসারসাইজ- নিয়মিত যেকোনও একটা পদ্ধতিতে শারীরিক কসরত করলে আপনার ওজন কমবে।

 

প্রোটিনের ঘাটতি হলে চলবে না

 

ওজন কমানোর জন্য যাঁরা ডায়েট করেন তাঁরা একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, যাতে কোনওভাবেই প্রোটিনের ঘাটতি না হয়। তাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পাতে রাখা জরুরি। আপনি খেতে পারেন ডিম, ইয়োগার্ট এইসব খাবার, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আসলে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলি আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখে। ফলে খাইখাই ভাব থেকে যা কিছু খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় না। এর পাশাপাশি মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।

 

ফ্লুইড খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে

 

সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া সবসময়েই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এই অভ্যাস সার্বিকভাবে আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। তাই সঠিক পরিমাণে জল খেতে হবে। জলের ঘাটতি হলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এই সমস্যা হতে দেওয়া চলবে না। শুধু জল নয় মূলত শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে। নাহলে মানবশরীরে যে ফ্যাট বার্নিং পদ্ধতি চলে তা বাধাপ্রাপ্ত হবে। ডিহাইড্রেশনের কারণে আপয়ার শরীরে মেটাবলিজম রেট কমে যেতে পারে। আর এমনটা হলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।

 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।