নতুন কোনও অসুখ নয়, গুলেন বেরি সিনড্রোম। তবে এই মুহূর্তে আকস্মিক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে স্নায়ুর এই অটোইমিউনড ডিসঅর্ডার। মহারাষ্ট্রের পুণেতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু শুধু মহারাষ্ট্র নয়, বাংলাতেও একের পর এক জাগায়, থাবা বসাচ্ছে এই অসুখ। জিবি সিনড্রোম। শুধু আক্রান্ত নয়, রাজ্যে একাধিক মৃত্যুর খবর নড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যবাসীকে। ভয় ধরাচ্ছে অজানা আতঙ্ক।
গুলেন বেরি সিনড্রোমে NRS হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আমডাঙার ১৭ বছরের কিশোরের। এখানেই শেষ নয় রাজ্যের জিবি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে আরো এক কিশোরের মৃত্যুর খবর সামনে এল। গত ২৬ জানুয়ারি জগদ্দলের কিশোরের মৃত্যু হয় বিসি রায় শিশু হাসপাতালে।
মৃত দেব কুমার সাউয়ের বয়স ছিল ১০ বছর। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। সাত দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ওই কিশোর। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর। বিসি রায় হাসপাতালে আরো দুই শিশুও চিকিৎসাধীন এই সিনড্রোম নিয়ে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, একজন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। আরেকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ভেন্টিলেশনে রয়েছে ৮ ও ৯ বছরের দুই বালক। এদের মধ্যে একজন একমাসের ওপর ভেন্টিলেশনে রয়েছে।
Guillain-Barre Syndrome (GBS) একটি বিরল স্নায়ুরোগ। তবে এই রোগ আটকানোর কোনও উপায় সেভাবে নেই। এই গুরুতর অটোইমিউন ডিসঅর্ডার পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। আর এর প্রথম লক্ষণই হল পেশীর দুর্বলতা । অনেকেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দুর্বলতাকে শারীরিক দুর্বলতার ফল বলে মনে করেন। কিন্তু যে যেভাবে জিবি সিনড্রোম থাবা চওড়া করছে, তাতে, সামান্যতম অসাড় ভাবও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। অবহেলায় পক্ষাঘাতের মত উপসর্গ হতে পারে, যা বিছানায় ফেলে দেয় মানুষকে। এই রোগটির শুরু থেকেই ঠিক চিকিৎসা না করালে প্রাণের ঝুঁকিও হতে পারে।
Guillain-Barre Syndrome (GBS) একটি বিরল স্নায়ুরোগ। তবে এই রোগ আটকানোর কোনও উপায় সেভাবে নেই। এই গুরুতর অটোইমিউন ডিসঅর্ডার পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। আর এর প্রথম লক্ষণই হল পেশীর দুর্বলতা । অনেকেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দুর্বলতাকে শারীরিক দুর্বলতার ফল বলে মনে করেন। কিন্তু যে যেভাবে জিবি সিনড্রোম থাবা চওড়া করছে, তাতে, সামান্যতম অসাড় ভাবও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। অবহেলায় পক্ষাঘাতের মত উপসর্গ হতে পারে, যা বিছানায় ফেলে দেয় মানুষকে। এই রোগটির শুরু থেকেই ঠিক চিকিৎসা না করালে প্রাণের ঝুঁকিও হতে পারে।
এই রোগের নামকরণ করা হয়েছে ফরাসি নিউরোলজিস্ট জর্জেস গুইলেন এবং জিন আলেকজান্ডার বারের নামানুসারে। তাঁরাই ২০১৬ সালে এই রোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। । যদিও GBS যে কাউকে প্রভাবিত করতে পারে।