কলকাতা: ঘন ঘন কাশি। প্রথম প্রথম মনে হবে নির্ঘাত ঠান্ডা লেগেছে। কিন্তু কিছু দিন কাটলে বোঝা যাবে, ব্যাপারটা তার থেকেও গুরুতর। কারণ এই কাশি সহজে থামছে না। হয়েই যাচ্ছে। কাশির সঙ্গে ধীরে ধীরে আরও বেশ কিছু সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে অবশেষ জানা যায়, যে এ আদতে হুপিং কাশির লক্ষণ। 


হুপিং কাশির বয়স


মূলত শিশুদের মধ্য়ে এই কাশি বেশি দেখা যায়। অল্পবয়সি শিশুদের মধ্য়ে ঘন ঘন কাশির লক্ষণ দেখলেই তাই সতর্ক হতে হবে। হুপিং কাশি একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। তাই বর্তমানে এর টিকাও উপলব্ধও রয়েছে। এই টিকা নিলে হুপিং কাশি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। হুপিং কাশির ব্যাকটেরিয়ার বরদেতেল্লা পারটুসিস। 


হুপিং কাশির লক্ষণ


একেকটি ধাপে একেকরকম লক্ষণ থাকে হুপিং কাশির। যেমন প্রাথমিক ধাপে এই কাশি সাধারণ সর্দিকাশির মতোই শুরু হয়। এর পরের ধাপে কাশি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে দেখা দিতে আরও কিছু উপসর্গ।



  • নাক থেকে জল পড়া, বারবার নাক টানা

  • অল্প জ্বর

  • মাঝে মাঝে কাশি (শিশুদের এই কাশি হয় না)

  • স্লিপ অ্যাপনিয়া অর্থাৎ ঘুমের মাঝে হঠাৎ কিছুক্ষণ নিশ্বাস থেমে যাওয়া

  • সায়ানোসিস অর্থাৎ মুখচোখ নীল বা বেগুনি হয়ে যেতে থাকা।


প্রথম দুই সপ্তাহ এই ধরনের লক্ষণই দেখা যায়। পরে এই লক্ষণগুলিতে কিছু বদল আসে। বেশিরভাগ ব্যক্তি তখনই এই ব্যাপারে সতর্ক হন।



  • দুই সপ্তাহের মাথায় প্যারোক্সিজমের লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। 

  • এই অবস্থায় প্রচন্ড জোরে,ঘন ঘন কাশি হয়। আর কাফিং ফিটও হয়। অর্থাৎ কাশতে কাশতে কাশি আটকে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটে।

  • এই সময়েই হুপের মতো আওয়াজ নির্গত হয় মুখ দিয়ে ।

  • অন্যদিকে বমিও হয় কাফিং ফিটের সময়।

  • শিশু প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ে ফিট হলে। 

  • শ্বাসকষ্টের সমস্য়া এই সময় বাড়ে।


সেরে ওঠা


কমবেশি আট সপ্তাহ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে থাকে। কিন্তু এর পর ধীরে ধীরে সেরে উঠতে থাকে আক্রান্ত ব্যক্তি বা শিশু। সেরে ওঠাকালীন এই লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এক সময় তা সেরে যায়। কমবেশি চার সপ্তাহ এই পর্যায়টি চলে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Lung Cancer: ধূমপান না করলেও কেন ফুসফুস ক্যানসার ? জানা গেল আসল কারণ