Drug Resistant Bacteria: দীর্ঘ সাত বছর ড্রাগ রেসিসট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার তালিকা আপডেট করা হল। আপডেট করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তালিকায় নয়া ব্যাকটেরিয়ার নাম ঢুকেছে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলির ব্যাপারে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এগুলির মোকাবিলা করতে নতুন করে ওষুধ তৈরির দরকার রয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজন চিকিৎসা ব্যবস্থায় বদল আনা। এমনটাই জানিয়েছে হু। কিন্তু ড্রাগ রেসিসট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া কেন বেশি ক্ষতিকর?
ড্রাগ রেসিসট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া কেন বেশি ক্ষতিকর ?
চিকিৎসকদের কথায়, এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া ড্রাগ রেসিস্ট করতে পারে। অর্থাৎ ওষুধকে সহজে বুড়ো আঙুল দেখাতে পারে। ওষুধকে বুড়ো আঙুল দেখানোর অর্থ ওই ওষুধ দিয়ে আর চিকিৎসা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়ায়। ধীরে ধীরে একটি বিশাল অঞ্চল জুড়ে বিস্তার লাভ করে। একটা সময় পর্যন্ত ওষুধে কাজ হলেও তার পর আর কাজ দেয় না চিকিৎসা । তখন ওই ব্যাকটেরিয়াগুলি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে । ঠিক যেমনটা এক সময় ছিল করোনা। যদিও করোনা আদতে ভাইরাস। কিন্তু তাঁর কোনও ওষুধ আজও নেই। রয়েছে শুধু টিকা।
ড্রাগ রেসিসট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার নেপথ্যে মানুষই
ড্রাগ রেসিসট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার নেপথ্যে কিছু ক্ষেত্রে মানুষের ভূমিকাও রয়েছে। খুব সহজ একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। কোনও রোগে আক্রান্ত হলে অনেকে ডাক্তার দেখান। ওষুধ কিনে আনেন। কিন্তু ওষুধের সম্পূর্ণ ডোজ শেষ করেন না। ধরা যাক, ১০ দিনের ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। ৫ দিনের মাথায় রোগের প্রকোপ কিছুটা কমলে অনেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। অথবা কেউ কেউ ভুলে যান ওষুধ খেতে। এর জেরে ব্যাকটেরিয়াটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে। কারণ ওষুধ তাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করলেও পুরো মারতে পারেনি। ফলে অনাক্রম্যতা তৈরি হয়ে যায় ব্যাকটেরিয়ার দেহে। এর পর সেটি সংক্রমণের মাধ্যমে অন্য শরীরে পৌঁছায়। এর পর আর একই ওষুধে কাজ হয় না তেমন।
কোন কোন ব্যাকটেরিয়া এই তালিকায় ?
- মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিসের উপর কাজ করছে না রিফামপিসিন ওষুধটি।
- শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সিউডোমোনাস আরুজিনোসা। কার্বাপেনেমকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে এই ব্যাকটেরিয়া।
- এনটেরোব্যাকটেরালেসের উপর কাজ করছে না সেফালস্পোরিন।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - Yellow Fever: হলুদ জ্বরের টিকা দিতে শুরু করল তামিলনাডু, কী এই জ্বর, কেন হয় ?