কলকাতা: যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের কাছে 'ক্রিসমাসের' মতোই পবিত্র ও আনন্দের উৎসব 'ইস্টার' (Easter 2023)। নিউ টেস্টামেন্ট অনুযায়ী, এই দিনেই ফের বেঁচে উঠেছিলেন যিশুক্রিস্ট (Jesus Christ)। ক্রিস্টানদের কাছে তাই এই পরব অত্যন্ত পবিত্র। কিন্তু এহেন উৎসবের সঙ্গে 'ইস্টার বানি' বা খরগোশের সম্পর্ক ঠিক কোথায়? ডিমের ব্যবহারই বা চালু হল কেন এই পরবে?
টুকিটাকি...
বছরভর শান্তশিষ্ট হয়ে থাকলে বাচ্চাদের জন্য ক্রিসমাসের সময় নানা উপহার আনেন সান্তা ক্লস, এই প্রথা প্রায় সকলের জানা। ইস্টারের সময় একই দায়িত্বে থাকে 'ইস্টার বানিজ'। খুদেদের জন্য তার কাছেও থাকে নানা উপহার। এই উৎসবের অন্যতম অঙ্গ বিশেষ প্রার্থনা। কিন্তু সে তো গেল ধর্মাচরণের অংশ! এ ছাড়াও নানা ধরনের উদযাপন চলে এই সময়ে যার মধ্যে সেই অর্থে আলাদা করে ধর্মীয় রং থাকে না। এই উদযাপনেরই বড় অংশ জুড়ে থাকে 'ইস্টার এগস'।
ডিম কেন?
আসলে ক্রিস্টানদের কাছে নতুন জীবন ও উর্বরতার প্রতীক এই 'ইস্টার এগস'। শুধু এটি নয়। এই সময় গির্জাগুলিকে যে 'ইস্টার লিলি' দিয়ে সাজানো হয়, সেটিও জীবনের রূপক। যিশুক্রিস্টের প্রত্যাবর্তনের এই সময়টিকে উদযাপন করতে তাই এই উপকরণগুলি না হলেই নয়। এবং সেই তালিকায় আরও একটি হচ্ছে 'ইস্টার বানিজ'। 'ইস্টার'-র ঠিক আগে যে রবিবার পড়ে, সেই সকালে বাচ্চাদের হাতে মিষ্টি ও চকোলেট তুলে দেওয়াই কাজ এই 'ইস্টার বানি'দের।
কোথা থেকে শুরু?
এই মিষ্টি খরগোশদের হদিশ প্রথম জার্মানিতে পাওয়া যায়। সপ্তদশ শতকের জার্মান সাহিত্যেই প্রথম 'ইস্টার বানিজ'-র কথা রয়েছে বলে দাবি কারও কারও। খাবার হিসেবে এই সময় সলিড 'চকোলেট এগস' -র ব্যবহার অত্যন্ত প্রচলিত। তা ছাড়া 'হট ক্রস বানস', কিশমিশ দেওয়া 'ইস্ট ডাফ বানস'-ও এই উৎসবের অন্যতম প্রচলিত খাবার। এর মধ্যে কিশমিশের ব্যবহারও প্রতীকী। যিশুক্রিস্টকে যে ভাবে বা নির্দিষ্ট করে বললে যার উপর হত্যা করা হয়েছিল, তা মনে রাখতেই কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। ব্রিটেনে আবার 'সিমনেল কেক' ইস্টার পরবের অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার। অন্য দিকে রাশিয়া এই সময় বিশেষ ধরনের ছোট প্যানকেক খেয়ে উদযাপন করে। অর্থাৎ দেশ, কাল ভেদে পদ আলাদা। তবে মূল মন্ত্র এক।
আরও পড়ুন:গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন কোভিড আক্রান্ত ৬০৫০! ফের কেন বাড়ছে কোভিড গ্রাফ?