কলকাতা: প্রতি চার বছর অন্তর লিপ ইয়ার (Leap Year 2024) আসে। কিন্তু এ কি অনন্ত কালের হিসেব ? দিনের পর দিন এভাবেই চার বছর অন্তর একটি করে দিন বেড়ে যাবে ক্যালেন্ডারে ? আসলে লিপ ইয়ারের হিসেবটাই বেশ মজার। আর তাতেই লুকিয়ে আছে দিনের হিসেবের রহস্য। তবে এই রহস্যের পথিক ছিলেন জুলিয়াস সিজার।
জুলিয়াস সিজারের কারসাজি
জুলিয়াস সিজারের হাত ধরেই লিপ ইয়ার (Leap Year) শুরু হয় প্রথম। আগের রোমান ক্যালেন্ডার বেশ গন্ডগোলের ছিল। যার ফলে ঠিকমতো উৎসব পালন করা যেত না। তাঁর প্রবর্তিত ক্যালেন্ডারের নাম ছিল জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। সেখানে একটি বছরকে সমান ৩৬৫ দিনে ভাগ করা হয়। কিন্তু তাতেই সব মিটে যায় না। কারণ পৃথিবীর সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরতে ৩৬৫ দিনের থেকে কিছুটা বেশি সময় লাগে। আর সেই সময়টাই আসল গেরো। যা লিপ ইয়ারের জন্ম দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ অব্দে থেকে প্রথম লিপ ইয়ার শুরু করা হয়।
কেন লিপ ইয়ারের সূচনা (Leap Year History)
নাসার তথ্য সূত্র বলছে, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর একবার ঘুরতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা ৯ মিনিট। পৃথিবীর গতি থাকে প্রতি সেকেন্ডে ২৯.২৯ কিমি থেকে ৩০.২৯ কিমি। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরলে তাকে এক বছর হিসেবে গণ্য করা হয়। এদিকে প্রতি বছর ছয় ঘন্টা আর হিসেবের মধ্যে ধরা হয় না। এই হিসেব মেলাতেই প্রতি চার বছর অন্তর একবার করে লিপ ইয়ার আসে।
লিপ ইয়ার কীভাবে গোনা হয় (Leap Year Calculation)?
লিপ ইয়ার গোনার কিছু কায়দা রয়েছে। সাধারণভাবে নিয়ম হল একটি সালকে চার দিয়ে ভাগ করলে যদি ভাগ মিলছে কি না দেখতে হবে। এর পর সেটিকে ১০০ দিয়ে ভাগ করতে হবে। ভাগ করা না গেলে তবেই সেটি লিপ ইয়ার। কিন্তু ভাগ করা গেলে সেটি লিপ ইয়ার
তাহলে ১৭০০, ১৮০০, ১৯০০ কেন লিপ ইয়ার নয় ?
শতাব্দী শুরুর বছরগুলির জন্য আলাদা নিয়ম ধার্য করেন জুলিয়াস সিজার। সেই নিয়মে ৪ কেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, আবার ১০০ কেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বরং গুরুত্ব পেয়েছে ৪০০। ৪০০ দিয়ে একটি শতাব্দী বছর অর্থাৎ ১৭০০, ১৮০০, ১৯০০-কে ভাগ করা গেলে তবেই সেটি লিপ ইয়ার। তাই ১৬০০ সালের পর লিপ ইয়ার ২০০০।
আরও পড়ুন - National Science Day 2024: জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের নেপথ্যে সি ভি রমন, কেন ২৮ ফেব্রুয়ারি ?