Crash Diet: ওজন নিয়ন্ত্রণে (Weight Loss) রাখার জন্য অনেকেই কড়া ডায়েটের (Dieting) মধ্যে থাকেন। খাওয়া-দাওয়ায় (Food Habits) থাকে প্রচুর অনুশাসন। সঙ্গে চলতে থাকে শরীরচর্চা। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাইলে এই নিয়মে চলতে পারলে ভাল। কিন্তু দ্রুত ওজন কমানো চেষ্টায় অনেকেই ক্র্যাশ ডায়েট করেন। স্বাস্থ্যের পক্ষে এটা অত্যন্ত খারাপ। ক্র্যাশ ডায়েটের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। ধরুন কেউ দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকেন। জলখাবার খান না। কেউ বা আচমকাই কোনও এক ধরনের খাবার খাওয়া একদম বন্ধ করে দেন (উদাহরণস্বরূপ কার্বোহাইড্রেট)। উল্লিখিত কাজগুলি করলে ওজন আপনার কমবে ঠিকই কিন্তু ক্র্যাশ ডায়েটের জেরে বাড়বে বিপদ। অপুষ্টিতে ভুগতে পারেন আপনি। দেখা দিতে পারে হাজার সমস্যা। তাই ক্র্যাশ ডায়েট না করাই মঙ্গলের। বরং ধীরে ধীরে খাবার খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।
ক্র্যাশ ডায়েট করলে কী কী সমস্যা হতে পারে
অপুষ্টি- বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া আচমকা বন্ধ করে দিলে আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণ অর্থাৎ নিউট্রিয়েন্টসের ঘাটতি দেখা যাবে। তার ফলে অপুষ্টিতে ভুগবেন আপনি। কমবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। অপুষ্টি হলে কাজে এনার্জি পাবেন না। সারাক্ষণ একটা ক্লান্তি ভাব দেখা যাবে। হতে পারে অনেক জটিল অসুখ। শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন।
পেশীর ক্ষয়- ক্র্যাশ ডায়েট করলে বেশিরভাগ সময়েই পেশী বা মাসলের ক্ষয় হয়। তার ফলে আপনার পেশী আরও সুর্বল হয়ে পড়ে। ক্র্যাশ ডায়েট করতে গিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় খাবারের ক্যালোরির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এর ফলে মেটাবলিজম রেট কমে যায়। আর তার প্রভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। প্রভাব পড়ে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায়। খাবার হজম করার শক্তিও হ্রাস পায়।
চুল এবং ত্বকের সমস্যা- ক্র্যাশ ডায়েটের জেরে ত্বক এবং চুলে অনেক সমস্যা অবধারিত ভাবে দেখা যায়। কারণ শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণের ঘাটতি হয় এই যথেচ্ছ ভাবে ডায়েট করার কারণে। এর ফলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। অল্পের বৃদ্ধির পরেই ভেঙে যেতে পারে নখ। ত্বকের উজ্জ্বলতা দূর হয় নিমেষে। এছাড়াও মুড সুইংস, সোশ্যাল গ্যাদারিং এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা এইসবও দেখা যায়।
ক্র্যাশ ডায়েট করার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, এরপর যখন আপনি আবার সাধারণভাবে খাবার খেতে শুরু করবেন তখন একধাক্কায় আপনার ওজন অনেকটা বাড়তে পারে। তাই ওজন কমানোর জন্য কখনই ক্র্যাশ ডায়েট করবেন না। বরং মাথায় রাখা উচিত যতটা ক্যালোরি খাবেন ততটাই যেন বার্ন করতে পারেন। তাহলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন। এর পাশাপাশি যেসব খাবার খেলে দ্রুত হারে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলি এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক।
আরও পড়ুন- শীতেও রুক্ষ-শুষ্ক হবে না আপনার চুল, বজায় থাকবে উজ্জ্বলতা, মেনে চলুন এই সহজ নিয়মগুলি