Chyawanprash Health Benefits: শীতের মরশুমে সুস্থ থাকতে চাইলে, বিশেষ করে সর্দি-কাশির সমস্যা এড়াতে চাইলে, নিয়মিত চ্যবনপ্রাশ খেতে হবে। ঘরোয়া টোটকা হিসেবে চ্যবনপ্রাশের জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন ভেষজ উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় এই চ্যবনপ্রাশ। দিনে দু'চামচ খেলেই ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকবেন সারা বছর। সার্বিক ভাবে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ 'ইমিউনিটি' বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই চ্যবনপ্রাশ। তার ফলে রোগ-সংক্রমণ থেকে দূরে থাকবেন আপনি।
কী কী দিয়ে তৈরি হয় চ্যবনপ্রাশ
আমলকি, গুড় অথবা মধু, ঘি, তিসির তেল, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ- এই সমস্ত উপকরণ দিয়ে বাড়িতে আপনি নিজেও তৈরি করে নিতে পারবেন চ্যবনপ্রাশ। এর মধ্যে আপনি চাইলে মিশিয়ে নিতে পারেন শুকনো কিশমিশ কিংবা ডুমুর ফল। এছাড়াও অশ্বগন্ধা দেওয়া যায় চ্যবনপ্রাশ তৈরির ক্ষেত্রে। প্রথমে আমলকি সেদ্ধ করে নিন কিংবা রাতভর ভিজিয়ে রাখুন জলে। তারপর তিসির তেল এবং ঘি- এর মধ্যে আমলকি সেদ্ধ বা জলে ভেজানো আমলকি দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে নিন। এবার ওই মিশ্রণের মধ্যে বিভিন্ন মশলা এবং ভেষজ উপকরণগুলি মিশিয়ে নিতে হবে। তারও আগে দিতে হবে গুড় কিংবা মধু, যেটা আপনার ইচ্ছে।
সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করা ছাড়াও কী কী উপকার করে চ্যবনপ্রাশ
- স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে চ্যবনপ্রাশ। তাই যাঁদের কর্মসূত্রে কিংবা অন্যান্য বিভিন্ন কারণে সারাদিন খুবই চাপে কাটে তাঁরা দু'বেলা এক চামচ করে চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
- খাবার ভালভাবে হজম করাতে সাহায্য করে চ্যবনপ্রাশ। অর্থাৎ হজমশক্তি ভাল হয় চ্যবনপ্রাশ খেলে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে এই উপকরণ। কিন্তু বেশি খাওয়া হয়ে গেলে পেটে ব্যথা এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চ্যবনপ্রাশ রোজ খেলে মেপে খেতে হবে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও মজবুত করার পাশাপাশি চ্যবনপ্রাশ নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরে পুষ্টির জোগান সঠিকভাবে পৌঁছয়। কারণ আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণ ভালভাবে শরীরে শোষিত হতেও সাহায্য করে চ্যবনপ্রাশ খাওয়ার অভ্যাস।
কারা কতটা চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন
বাচ্চারা দিনে এক চা-চামচ চ্যবনপ্রাশ (৫ থেকে ১০ গ্রাম) একবার কিংবা দু'বার খেতে পারেন। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্করা দিনে বড় চামচের এক চামচ চ্যবনপ্রাশ দু'বার খেতে পারেন। সকালে চবণপ্রাশ খেতে পারলেই ভাল। উপকার সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- 'হেলদি ডায়েটে' ভেজানো মুগডাল কেন রাখবেন? কতটা পরিমাণে খাওয়া উচিত?
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।