কলকাতা: গাছের থেকে পাওয়া অর্থাৎ প্ল্যান্ট বেসড প্রোটিনের গুণেই বাড়ছে আয়ু। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনটাই জানতে পারলেন গবেষকরা। মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, প্ল্যান্ট বেসড প্রোটিন খাওয়ার গুণে বেশ কিছু ক্রনিক রোগ ঠেকানো যাচ্ছে। যা পারতপক্ষে আয়ু কমিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। অন্যদিকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য ভেঙে যেতে শুরু করে। তাও ঠেকিয়ে রাখে এই বিশেষ ধরনের প্রোটিন।
কোন কোন রোগ এড়ানো যায়?
সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অব ক্রিটিক্যাল নিউট্রিশনে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়। তাতে ৪৮ হাজার মহিলার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই তথ্যই বিশ্লেষণ করে দেখেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা যায়, হার্টের রোগ থেকে ক্যানসার, ডায়াবেটিস থেকে মানসিক সমস্যার মতো ক্রনিক রোগ অনেকটাই কম একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যে। আর সেই গোষ্ঠীর মহিলাদের খাবারে প্ল্যান্ট বেসড প্রোটিনের পরিমাণ বেশি।
কী ধরনের খাবার প্ল্যান্ট বেসড প্রোটিন?
প্ল্যান্ট বেসড প্রোটিন বলতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনকে বোঝানো হয়। এই তালিকার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ফল, সবজি, ব্রেড, বিনস, সয়জাতীয় খাবার, ডালজাতীয় শস্য ইত্যাদি।
কী বলছেন গবেষক?
হিউম্যান নিউট্রিশন রিসার্চ সেন্টার অন এজিংয়ের বিজ্ঞানী তথা এই গবেষণার মুখ্য গবেষক অ্যান্ড্রেস আর্দিসন কোরাট সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মধ্য বয়সে এই বিশেষ প্রোটিন মহিলারা যত বেশি খান, ততই বেশি বয়সে তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন। গবেষণা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রোটিনের উৎসটাও এই ব্যাপারে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেশি উপকারী। বয়সকালে সুস্থ থাকার জন্যও এটি বেশি দরকারি বলে দেখা গিয়েছে।
প্রাণীজ প্রোটিন খেলে কি বিপদ?
এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রাণীজ প্রোটিন যারা খান, তাদের মধ্যে রোগের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। যারা প্রাণীজ প্রোটিন খান, তাদের ক্রনিক রোগের হার উদ্ভিজ্জ প্রোটিনভোজীদের থেকে ছয় শতাংশ বেশি।
প্রসঙ্গত, প্রাণীজ প্রোটিন থেকে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও পাওয়া গিয়েছে একাধিক গবেষণায়। দেখা গিয়েছে, এই ধরনের মাংস বা খাবারে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি। যা হার্টের রোগসহ আরও কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে রক্তচাপ ও লিভারের রোগের পিছনেও অনেকাংশে এই ধরনের খাবার দায়ী থাকে। সেই তত্ত্বই ফের প্রমাণিত হল আমেরিকান জার্নাল অব ক্রিটিক্যাল নিউট্রিশনের গবেষণায়।
তথ্যসূত্র - আইএএনএস
আরও পড়ুন - Increased Appetite: ঘন ঘন খিদে পায় ? কেন এমন হয়