কলকাতা: একটি সমস্যা মহিলাদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, প্রতি তিনজন মহিলার মধ্যে একজন জীবনের কোনও না কোনও সময় এই সমস্যায় ভোগেন। ,সেটি হল প্রস্রাবের সমস্যা। এই সমস্যা নিয়ে তারা কথা বলেন না সহজে। ফলে সমস্যা সমস্যাই থেকে যায়। সামাজিক কিছু ধারণার কারণেই মুখ খুলতে চান না কেউ সমাজে এই ধারণা এবার ভাঙা উচিত বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।


বড় আকার নেয় প্রস্রাবের সমস্যা


সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব নেফ্রোলজি অ্যান্ড ইউরোলজির চিকিৎসক সারিকা পান্ডে বলেন, ভারতীয় মহিলাদের মধ্য়ে এই সমস্যা অনেকটাই বেশি। শুধু তাই নয়, এর জন্য নানা মানসিক সমস্যার মধ্যেও পড়তে হয় তাঁদের। অর্থাৎ ধীরে ধীরে সমস্যাটি বড় আকার নিতে থাকে। যা থেকে বেরিয়ে আসা মুশকিল হয়ে পড়ে।


সমস্যা সামাজিক স্তরেও


চিকিৎসক সারিকা জানাচ্ছেন, সমাজে প্রচলিত নানা ধারণা প্রস্রাবের সমস্যা নিয়ে সহজে কথা বলতে দেয় না বলেই মনে করেন অনেকে। দীর্ঘদিন ধরে সমস্য়া চেপে রাখতে রাখতে রোজকার জীবনযাত্রায়  বদল আসতে থাকে। অনেকে ঘর থেকে বেরোতে চান না। ঘর থেকে বেরোতে হলে নানা অস্বস্তির মধ্যে পড়েন। মুখ ফুটে সবসময় সেই কথাও বলতে পারেন না। 


রয়েছে সচেতনতার অভাব


এই সমস্যার যে পর্যাপ্ত চিকিৎসা রয়েছে, তা অনেকেই জানেন না। এর বড় কারণ সমস্যাটি নিয়ে কথা না বলা। অন্য কারণ হল চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতার অভাব। সঠিক সময়ে রোগটির চিকিৎসা করালে সমস্যা অনেকটাই আয়ত্তে রাখা যায়। কিন্তু সেই চিকিৎসার দিকে অনেকেই যেতে চান না। কামিনেনি হাসপাতালের চিকিৎসক বানু প্রিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, বর্তমানে ভারতের ৫০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫ কোটি মহিলা এই সমস্যায় ভোগেন। আশঙ্কা, এই সমস্যা দিনে দিনে আরও বাড়তে পারে।


অল্প বয়স থেকেই হতে হবে সতর্ক


আমর হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন ও নেফ্রোলজি, রেনাল ট্রান্সপ্লান্টের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজরী গিরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বেশ কিছু কারণে মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যার বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হল সন্তান জন্ম, বয়সের সঙ্গে নানা রোগ শরীরের বাসা বাঁধতে থাকা। তাই অল্প বয়স থেকেই শরীরের নানা সমস্যার ব্যাপারে সচেতনতা জরুরি। যা পরবর্তীকালে এই ধরনের সমস্যার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।


আরও পড়ুন - Women’s Day 2024: ভাঙছে বাঁধ, নিজের যত্নেও মন দিচ্ছেন নারীরা