কলকাতা: গরমে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা যায় এই গরমে। ত্বক থেকে মাইগ্রেন--এরকম সমস্যা তো রয়েইছে। তারই সঙ্গে বিপদ বাড়ায় শ্বাসকষ্ট। যাঁদের অ্যাজমার সমস্য়া রয়েছে। তাঁদের বছরের বিভিন্ন সময় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা যায়। গরমের সময়েও বিপদ থাকে তাঁদের। গ্রীষ্মকালে হাঁপানি, শ্বাসযন্ত্রের নানা সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। 


বিশ্ব অ্যাজমা দিবস
আজ, তেসরা মে বিশ্ব অ্যাজমা দিবস। অ্য়াজমা-সংক্রান্ত সমস্যা থেকে কীভাবে বাঁচা যায়। কোন কোন দিকে খেয়াল রাখলে অ্যাজমা অ্যাটাক এড়ানো যাবে? এসব বিষয় নিয়েই সচেতনতা প্রচার করা হয় এই দিনটিতে। প্রবল গরমে, তাপপ্রবাহ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বেশ কিছু দিকে খেয়াল রাখতে হবে।


সেগুলি কী কী?



  • শ্বাসকষ্ট থাকলে বা অ্যাজমা থাকলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয়তা বুঝে বেশ কিছু ওষুধ দিয়ে থাকেন। সেগুলি খেয়ে যেতে হবে। 

  • চিকিৎসক যে ইনহেলার ব্যবহার করতে বলেছেন, যেভাবে ব্যবহার করতে বলেছেন তার অন্যথা করা যাবে না। যেখানেই যাবেন সবসময় সঙ্গে ইনহেলার রাখতে হবে। সমস্যা দেখলেই তা নিতে হবে।

  • ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে ইনহেলার। সরাসরি রোদে রাখা যাবে না। সেভাবেই ব্যাগেও রাখতে হবে ইনহেলার। 

  • খুব প্রয়োজন না হলে অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তি দিনের বেলা কড়া রোদে বেরোবেন না। 

  • শরীরচর্চা সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয়। রোদ এড়িয়ে সকালে বা বিকেলে প্রাণায়াম, ব্য়ায়াম করলে অনেকটা ভাল থাকবেন অ্যাজমার সমস্যায় ভোগা কোনও ব্যক্তি।

  • খুব বেশি ধুলোবালি, ধোঁয়ার মধ্যে যাবেন না। গেলেও মাস্ক ব্যবহার করবেন। ধুলো-ধোঁয়া থেকে অ্যালার্জি এবং তা থেকে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে ফুলের রেণু থেকেও সমস্যা হয়। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। 

  • নজর থাকুক স্বাস্থ্যকর খাবারে। প্রতিদিন ফল ও পর্যাপ্ত সব্জি খেতে হবে। দই ও লস্যিজাতীয় খাবারও খেতে হবে। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: অ্যাজমা রোগীর কোভিড ? গোদের উপর বিষফোঁড়া !