কলকাতা: ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এই দিনটি সারা বিশ্বেই অটিজম নিয়ে সচেতনতা প্রচার করা হয়। অটিজম এমন একটি সমস্যা যাতে একজন আর পাঁচজনের মতো সামাজিক বিষয়গুলির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফাঁক থেকে যায়। অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অটিস্টিক বলা হয়। অন্যদিকে যারা অটিস্টিক নন, তাদের অ্যালিস্টিক বলা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে অটিজম নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে‌।তবে সমস্যার পাশাপাশি বেশ কিছু দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে অটিস্টিক শিশুরা। তাদের মধ্যে বেশ কিছু কাজ দক্ষভাবে করার ক্ষমতা রয়েছে। যা আর পাঁচজনের থেকে তাদের আলাদাভাবে তুলে ধরে। 


অটিজম মানেই অক্ষমতা নয়


অটিজম মানেই অক্ষমতা নয়‌। বরং সায়েন্স অ্যালার্টের একটি সূত্রের দাবি, অটিজম বেশ কিছু দিক থেকে একটি শিশুকে এগিয়ে রাখে অর্থাৎ অ্যাডভান্টেজ দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হল ভাববার ক্ষমতা।


অটিস্টিক শিশুদের প্লাস পয়েন্ট 



  • বিভিন্ন রং ও আকারের ব্লককে নির্দিষ্ট ডিজাইনে সাজাতে পারে অটিস্টিক শিশুরা। যা মগজের যথেষ্ট পরিশ্রম ছাড়া সম্ভব নয়। 

  • বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট জিনিসকে ঠিকভাবে চিহ্নিত করার ক্ষমতাও রয়েছে অটিস্টিক শিশুদের।

  • কোনও জটিল নকশার মধ্যে থেকেঐ সিম্পল প্যাটার্ন খুঁজে বার করতে পারে তাঁরা।


অতি অল্প বয়স যেমন মাত্র নয় মাস বয়সেই এই গুণগুলি দেখা যায় অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে। যা এই বয়সের অনেক শিশুর মধ্যেই দেখা যায় না বলে জানাচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান।


অটিজম দিবসের থিম


প্রতি বছরই কিছু বিশেষ থিম নিয়ে পালন করা হয় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস।  চলতি বছরে এই দিনটির থিম অটিস্টিক মানুষদের কন্ঠস্বরকে আরও জোরালো করে তোলা। তবে এই থিমের একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। অটিস্টিক মানুষদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতেই এমন থিম নির্বাচন করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের পর্যাপ্ত সমর্থন জোগানোর বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া দরকার সমাজের। ‘এমপাওয়ারিং অটিস্টিক ভয়েস’ মনে করিয়ে দেয় সবার সমান অধিকারের কথা। যার দরুণ অটিস্টিক মানুষদেরও বিশেষ সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে। আর প্রয়োজনে সেটি তাদের দেওয়া উচিত। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের এই থিমটি নিয়ে এমনটাই বক্তব্য রাষ্ট্রসংঘের।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Hernia Surgery: হার্নিয়া হতে পারে অল্প বয়সেও, কেন, চিকিৎসা কী এর ?