কলকাতা:  হেপাটাইটিস। বিশ্বব্যাপী দেখা যায় এই রোগ। অত্যন্ত মারাত্মক এই রোগ, সময় বিশেষে প্রাণঘাতীও হতে পারে। ভারতেও দেখা যায় এর প্রকোপ। মূলত লিভার বা যকৃত আক্রান্ত হয় এর সংক্রমণে।


বিভিন্ন ধরনের হেপাটাইটিস সংক্রমণের ঘটনা দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাম শোনা যায় হেপাটাইটিস বি-র। এটি যকৃতের ক্যান্সারের প্রধান কারণ এবং ভারতে লিভার সিরোসিসেরও কারণ। এই রোগ রুখতে প্রয়োজন সর্বস্তরে সচেতনতা। সেই কারণেই, প্রতি বছর ২৮শে জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালন করা হয়। ভাইরাল হেপাটাইটিস নিয়েও সচেতনতা প্রসার করা হয়। 


হেপাটাইটিস আসলে কী?
হেপাটাইটিস হল যকৃতের প্রদাহ। ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণে, অত্যধিক অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ের জন্য, ওষুধের কারণে, অটো-ইমিউনিটি ডিজিজ, বিষাক্ত রাসায়নিক বা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত কারণে হতে পারে। বিভিন্ন স্তরে রয়েছে এই রোগের। প্রদাহের ফলে লিভারের অবস্থা কেমন হয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে  ফাইব্রোসিস, সিরোসিস এবং বিরল ক্ষেত্রে লিভার ক্যান্সারও হতে পারে।


ভাইরাল হেপাটাইটিস কি?
হেপাটাইটিস এ (এইচএভি), হেপাটাইটিস বি (এইচবিভি), হেপাটাইটিস সি (এইচসিভি), হেপাটাইটিস ডি, এবং হেপাটাইটিস ই সহ হেপাটোট্রপিক ভাইরাসগুলি লিভারকে সংক্রমিত করতে পারে এবং তার ফলেই ভাইরাল হেপাটাইটিস হতে পারে।


বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ:
হেপাটোট্রপিক ভাইরাসগুলির এক একটির ক্ষেত্রে এক একরকমের সংক্রমণ হতে পারে। হেপাটাইটিস এ এবং ই সংক্রমণের ফলে তীব্র হেপাটাইটিস হতে পারে। হেপাটাইটিস বি এবং সি সংক্রমণের ক্ষেত্রে অনেকসময় লিভারের কার্যক্ষমতা ধাক্কা খায়। দীর্ঘমেয়াদি লিভার সংক্রান্ত রোগ হতে পারে।


ভাইরাল হেপাটাইটিস কী ভাবে হয়?
হেপাটাইটিস ভাইরাস বিভিন্ন উপায়ে ছড়াাতে পারে। প্রসবের সময়, সংক্রমিত রক্ত ​​বা শরীর নিঃসৃত তরলের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শ হলে। রক্ত আদানপ্রদান, ইনজেকশনের মাধ্যমে,অসুরক্ষিতভাবে ট্যাটু করার মাধ্যমে এমন সংক্রমণ হতে পারে।


ভাইরাল হেপাটাইটিসের লক্ষণগুলি কী কী?
তীব্র হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগীরা প্রায়ই বমি বমি ভাব, ক্ষুধার অভাব, উপরের ডানদিকে পেটে অস্বস্তি এবং মাঝে মাঝে চোখ বা ত্বক হলুদ হয়ে যায়। যদিও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীরা পেট ও পায়ে ফোলাভাব, ক্ষত, জন্ডিস, বিভ্রান্তি এবং রক্ত ​​বমি হওয়ার অভিযোগ করেন, দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিসে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোকেরই কোনো উপসর্গ থাকে না।


ভাইরাল হেপাটাইটিসের চিকিৎসা কি?
দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কোনওভাবেই ফেলে রাখা উচিত নয়। চিকিৎসায় দেরি হলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। অনেকসময় শারীরিক দিক থেকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে। ফলে সচেতনতা প্রসার ও ঠিক চিকিৎসা অত্যন্ত প্রয়োজন। সুষ্ঠ চিকিৎসায় এই রোগ থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ফের বাড়ল রাজ্যের দৈনিক কোভিড-গ্রাফ, নতুন সংক্রমণ দেড় হাজার ছুঁইছুঁই