নয়াদিল্লি: মডেল ও অভিনেতা মিলিন্দ সোমন বরাবরই ফিটনেস সচেতন। তিনি ফিটনেস ধরে রাখার জন্য ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, ভাল অভ্যাসের চেয়েও খারাপ অভ্যাস ত্য়াগ করাই তাঁকে ফিট হয়ে উঠতে বেশি সাহায্য করেছে।

এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে পড়তাম। আমার টিভি বা ভিডিও গেম ছিল না। আমি ২০ বছর বয়স পর্যন্ত সফট ড্রিঙ্ক জাতীয় কোনও পানীয়ের স্বাদ নিইনি। আমার বেড়ে ওঠার সময় কোনও খারাপ অভ্যাস ছিল না। পরবর্তীকালে মডেলিং ও অভিনয় করার সময় আমার কিছু খারাপ অভ্যাস গড়ে ওঠে। তবে ২৮ বছর বয়স হওয়ার পরেই আমি অ্যালহোকল পান সহ যাবতীয় খারাপ অভ্যাস ছেড়ে দিই। আমার পক্ষে এটা সহজ হয়েছিল, কারণ আমি পার্টিতে বা কারও বাড়িতে যেতাম না।’

ভারতে শুধু মহিলাদের নিয়ে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা ‘পিঙ্কাথন’ আয়োজনের উদ্যোগ নেন মিলিন্দ। তিনি নিজে তিন বছর আগে ফ্লোরিডায় সাফল্যের সঙ্গে ‘আলট্রাথন’ শেষ করেন। এই ইভেন্টে ১০ কিমি সাঁতার, ৪২৪ কিমি সাইকেল চালানো এবং ৮৪ কিমি দৌড় থাকে। এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার আগে যিনি এই ইভেন্ট শেষ করেন, তাঁর বয়স ৬৭ বছর এবং একটিমাত্র পা রয়েছে। সব জায়গাতেই অনুপ্রেরণা রয়েছে।’

ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া অবশ্য খুব কঠিন ছিল বলে জানিয়েছেন মিলিন্দ। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘কেউ এখন আর সিগারেট এগিয়ে দেয় না। আমি যখন ধূমপান করতাম, তখন একটা সিগারেটের দাম ছিল এক টাকা। তখন সবাই একে অপরকে সিগারেট দিত। কিন্তু এখন সেই দাম বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা। লোকে বুঝতে পারে না, কিন্তু সিগারেটের নেশাও কোকেন বা মারিজুয়ানার মতোই।’

মিলিন্দ আরও জানিয়েছেন, ৩০ বছর বয়স থেকেই তিনি ধূমপান কমিয়ে দেওয়া শুরু করেন। সেই সময় দিনে চার-পাঁচটি সিগারেট খেতেন। তবে এই সময়টাই সবচেয়ে কঠিন ছিল। দিন চারটি সিগারেট থেকে একেবারে ছেড়ে দিতে দু’বছর লেগেছিল। তরুণদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, ‘সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে ফুসফুস নষ্ট হয়ে যাওয়ার যে ছবি দেওয়া থাকে, সেটা ভুয়ো নয়। সরকার সতর্ক করে দিচ্ছে, এই দ্রব্য আপনাদের মেরে ফেলবে। এ কথা মিথ্যা নয়।’