কলকাতা: আজ বিশ্ব ওবেসিটি দিবস (World Obesity Day)। ওবেসিটির অর্থ অতিরিক্ত ওজন। উচ্চতা ও বয়সের নিরিখে একজনের যা ওজন থাকা উচিত, তার থেকে বেশি মানেই অতিরিক্ত ওজন। ওজনের এই মাপকাঠি চিকিৎসাবিজ্ঞান নির্দেশিত। ইতিহাসের নানা সময়ে ওজনের দিক থেকে ইতিহাস গড়েছেন কিছু ব্যক্তি। গিনিস বুকে তাদের নাম উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘ওজনদার’ মানুষ হওয়ায়। তেমনই তিনজনের কাহিনি শুনলে অবাক হতে হবে নিশ্চিত।
জন ব্রোয়ার মিনখ (Jon Brower Minnoch)
ছোট থেকেই বেশি ওজনের সমস্যায় ভুগতেন জন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে জন্ম। ১২ বছর বয়সেই তার ওজন ছিল ১৩৩ কেজি। ২২ বছরের তরুণ হওয়ার পর ওজন মাপতে গেলে দেখা যায় তা বেড়ে ১৭৮ কেজি হয়েছে (World’s Fattest Man Ever Lived)। ওই বছরই তার প্রথম বিয়ে হয়। এর পর থেকে ওজন শুধুই বেড়েছে। ১৯৬৩ সালে তাঁর বিয়ের পর ১৯৬৬ সালে মাপা হয় ওজন। দেখা যায় শরীর ৩১৭ কেজির কোঠা পেরিয়ে গিয়েছে।
গিনিস বুকে নাম
এর দশ বছর বাদে ১৯৭৬ সালে তাঁর ওজন ৪৪২ কেজি হয়। দুই বছর বাদে তা পৌঁছায় ১৯৭৮ সালের মার্চে বেশি ওজনের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেখানে তাঁর ওজন মাপলে দেখা যায় ৬৩৫ কেজি। যা বিশ্বের সর্বকালের রেকর্ডকে ভেঙে দেয়। গিনিস বুকে নাম ওঠে জনের। হাসপাতালে নিয়ে যেতে একটি বিশেষ স্ট্রেচার তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়া ১২ জন দমকলকর্মীর সাহায্য নিতে হয় (World’s Fattest Man)। হাসপাতালের বিছানায় তাঁকে ওলটপালট করতে ১৩ জনকে কসরত করতে হত। এই অবস্থায় ১৯৮০ সালে তাঁকে ডিভোর্স দেন প্রথম স্ত্রী।
দ্বিতীয় বিয়ে ও দুই ছেলে
দুই বছর বাদে ১৯৮২ সালে দ্বিতীয় বিয়ে হয় তাঁর। ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই বছরের চেষ্টায় ৪১৯ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন (World’s Heaviest Person)। ২১৬ কেজি ওজন নিয়ে বাড়ি ফেরেন। দুই সন্তানের বাবা হন জন। কিন্তু এতটা ওজন কমিয়েও লাভ হয়নি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই ওজন বাড়তে শুরু করে। ছাড়িয়ে যায় ৩০০ কেজির কোঠা। ফের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। কিন্তু ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা সমেত, নানা রোগ পেয়ে বসেছিল শরীরটাকে। ১৯৮৩ সালে তাঁর মৃত্য়ু হয়। চিকিৎসকদের কাছে জন আজও বিস্ময়। ওবেসিটি নিয়ে গবেষণা করতে তাঁর অনেক তথ্য আজও কাজে লাগানো হয়।
আরও পড়ুন - Science Update: কীভাবে জন্মেছিল প্রথম প্রাণ ? নেপথ্যের যৌগটির খোঁজ মিলল এবার